বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এদিন প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে যান নয়া কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শীর্ষ আধিকারিকরা। ক্যান্টনমেন্টে আসার পর সেখান থেকে বিদেশি প্রতিনিধিদলটি ডাল লেকের পাড়ে অবস্থিত হোটেল ললিত শ্রীনগরে যায়। সেখানে একাধিক রাজনৈতিক নেতা এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আলতাফ বুখারির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ওই বিদেশি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেন। পরে প্রাক্তন পিডিপি নেতা বলেন, ‘৩৭০ ধারা বাতিল করার পর আমরা যে যন্ত্রণা ভোগ করেছি, তা ওঁদের কাছে তুলে ধরেছি। কাশ্মীরিরা বর্তমানে যে সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তাও ব্যক্ত করেছি। জেলবন্দি নেতারা ছাড়া পেলে রাজ্যে আরও রাজনৈতিক আন্দোলন শুরু হবে।’ রাজনৈতিক প্রতিনিধিদলের প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেছে ওই দলটি।
আর এক প্রাক্তন পিডিপি নেতা জাভেদ আহমেদ বাগ বলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক শুরু হচ্ছে, ততক্ষণ কাশ্মীরে শান্তি সম্ভব নয়। ইন্টারনেট না থাকায় কাশ্মীরিদের ভীষণ সমস্যা হচ্ছে। আমাদের চাকরি ও জমির নিরাপত্তা যাতে থাকে, সে ব্যাপারেও প্রতিনিধিদলকে জানিয়েছি।’ রাজনৈতিক নেতাদের ওই প্রতিনিধিদলে ছিলেন ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল ফ্রন্টের প্রধান গুলাম হাসান মির। তিনি বলেন, ‘৩৭০ ধারা বাতিল পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে ওঁরা জানতে চেয়েছিলেন। আমি বলেছি, হঠাৎ ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ায় ঝটকা লাগলেও কোনওরকম রক্তক্ষয় ছাড়াই বিষয়টি মোকাবিলা করতে পেরেছে সরকার।’
এদিকে, দলের নির্দেশ অমান্য করে বিদেশি প্রতিনিধিদল এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর গিরিশচন্দ্র মুর্মুর সঙ্গে দেখা করায় ন’জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে পিডিপি। এ বিষয়ে সুহেল বুখারি বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা রদ পরবর্তী সময়ে দলের কর্মীদের পার্টি লাইন ভাঙতে দেখা গিয়েছে। এটা দল এবং জম্মু ও কাশ্মীরের স্বার্থবিরোধী।’ একইসঙ্গে, কেন্দ্রের বন্দোবস্তে ১৬ দেশের দূতদের এই সফরের তীব্র সমালোচনা করেছে রাজ্যের প্রাক্তন শাসকদল পিডিপি। ট্যুইটারে তারা লিখেছে, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখতে রাষ্ট্রদূতের দ্বিতীয় ব্যাচকে পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রী দপ্তর। রাজ্যে চলা অচলাবস্থাকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখাতেই সরকারের এই পরিকল্পনা। গত ১৬০ দিন ধরে যে সমস্ত নেতা জেলবন্দি রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে প্রতিনিধিদলের দেখা করানোর সাহস কি পিএমও দেখাবে?’
অন্যদিকে, বিদেশি প্রতিনিধিদলের এই সফরকে কাশ্মীর নিয়ে মোদি সরকারের দু’মুখো নীতি বলে সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘ভারতীয় রাজনৈতিক নেতাদের পরিবর্তে বিদেশিদের জম্মু ও কাশ্মীর ঢুকতে দিয়ে দু’মুখো নীতি নিয়ে চলছে সরকার।’ তবে ১৬ রাষ্ট্রদূতের এই সফর নিয়ে সমালোচনা শুনতে রাজি নয় বিদেশ মন্ত্রক। এ ব্যাপারে মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, সরকারের তত্ত্বাবধানে এই সফর বলে যে সমালোচনা করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়।’
এরই মধ্যে শুক্রবার উপত্যকায় ইন্টারনেট বন্ধ ও নানাবিধ বিধিনিষেধ আরোপকে চ্যালেঞ্জ করে হওয়া মামলায় রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।