কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির অন্যতম ভরসা ছিলেন মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডে। উত্তরপ্রদেশে অত্যন্ত কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ছিল তাঁর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। একদিকে বিজেপি। বিপক্ষে সব বিরোধী দলের জোট। বিশেষ করে এসপি-বিএসপির মহাজোটের মোকাবিলা করা মোটেই সহজ ছিল না। কারণ, বিভিন্ন উপর্নির্বাচনে ‘বুয়া-ভাতিজা’র জোট বিজেপিকে রীতিমতো ধরাশায়ী করেছিল। অন্যদিকে, কংগ্রেস তাদের অন্যতম তাস প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে শেষ মুহূর্তে নামিয়ে বাজিমাতের চেষ্টা করে। প্রিয়াঙ্কা উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে কংগ্রেসের পক্ষে হাওয়া জোরদার করার চেষ্টা করেন। যাইহোক, ফলাফল বেরনোর পর জনগণের রায় এখন সকলের সামনে। ২০১৪ সালে মোদি হাওয়ায় ভর করে ৭০-এর বেশি আসন ধরে রাখতে না পারলেও মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডের নেতৃত্বে ৮০টির মধ্যে ৬২টিতে জয় পেয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি, ছত্রভঙ্গ বিরোধী শিবির। মায়াবতী-অখিলেশ জোট মাত্র ১৫টির মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, সবথেকে খারাপ অবস্থা কংগ্রেসের। সোনিয়া গান্ধীর রায়বেরিলি কেন্দ্র ছাড়া আর কোথাও জয় আসেনি। উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশের দায়িত্বে ছিলেন মহেন্দ্র পাণ্ডে। সেখানে বিজেপি ২৯টির মধ্যে ২৮টি আসনে জয়লাভ করেছে। কংগ্রেসের বড় নাম দিগ্বিজয় সিং, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার শোচনীয় পরাজয় হয়। শুধু জয় নয়, বলা ভালো কংগ্রেসের হাত থেকে একপ্রকার ছিনিয়ে এনেছেন মধ্যপ্রদেশকে। কারণ, একবছর আগে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের জেরে মধ্যপ্রদেশ হাতছাড়া হয়েছিল।
মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডের সাফল্যে খুশি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্রশিল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক দিয়েছেন। কিন্তু দলের ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি অনুযায়ী আর উত্তরপ্রদেশের বিজেপি প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন না পাণ্ডে। এখন তাঁর স্থানে কে দায়িত্ব নেবেন, এই নিয়ে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে চর্চা তুঙ্গে। বিষয়টি নিয়ে বিজেপির কোনও নেতা মুখ খুলতে নারাজ। বিভিন্ন সূত্রের খবর, পাণ্ডের স্থানে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী স্বতন্ত্রদেব সিং, লেজিসলেটিভ সদস্য বিদ্যাসাগর সোনকার, লক্ষ্মণ আচার্য বা এমপি মহেশ শর্মাকে বসানো হতে পারে। এঁরা কেউ সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না।