কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
কুমারস্বামীর অভিযোগ, সুমালতা মাণ্ড্য কেন্দ্রে বিপুল সমর্থন পাচ্ছেন। নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়ালেও কংগ্রেস, বিজেপি এবং কৃষকদের সংগঠন রায়তা সঙ্ঘ তাঁর পাশে রয়েছে। জেডিএসকে হারাতে ওরা একজোট হয়েছে। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র নিখিলকে আটকাতে কংগ্রেস চক্রান্ত করছে বলেও কয়েকদিন ধরেই সরব কুমারস্বামী ও তাঁর বাবা এইচ ডি দেবেগৌড়া। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন জেডিএসের এই শীর্ষ নেতা। তবে তাঁর মতে, যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন, ভোটাররা জোটপ্রার্থী নিখিলকেই ভোটে জেতাবেন।
উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে সাংসদ ছিলেন সুমালতার স্বামী তথা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা অম্বরীশ। এবারেও দলের একাংশ চেয়েছিল, দলের টিকিটে ভোটে দাঁড়াক তাঁর স্ত্রী সুমালতা। কিন্তু জোট রক্ষা করতে এই আসনটি জেডিএসকে ছেড়ে দেয় কংগ্রেস। তা নিয়ে নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে তুমুল ক্ষোভ তৈরি হয়। তলেতলে তারা নির্দল প্রার্থীকে জেতাতে প্রচারও শুরু করে। একথা স্বীকার করেছেন সুমালতা নিজেও। কুমারস্বামীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে নির্দল প্রার্থী বলেন, ‘কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকেরা অবশ্যই আমার সঙ্গে আছেন।’ পাশাপাশি, জেডিএসের বিরুদ্ধে ‘নোংরা রাজনীতি’ করার পাল্টা অভিযোগ এনেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘রাজ্য সরকার, সমস্ত মন্ত্রী ও বিধায়করা আমাকে হারাতে চাইছে। আমার বিরুদ্ধে সুমালতা নামে আরও তিনজন প্রার্থীকে দাঁড় করানো হয়েছে। তারা আমার মতোই পোশাক, গয়না পড়ে প্রচার করছেন।’
১৮ এপ্রিল এই কেন্দ্রে ভোট রয়েছে। তার আগে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে। তবে ভোটররা শেষ পর্যন্ত কার পাশে থাকবেন, তা পরিষ্কার হবে ২৩ মে ফলাফলের দিনই।