কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
গৌতম বুদ্ধ নগর কেন্দ্রে প্রচারের ক্ষেত্রে ১৭টি সমস্যা ও তার সমাধানের তালিকা তৈরি করেছেন অরবিন্দ। তাঁর কথায়, ‘গৌতম বুদ্ধ নগরের জন্য ১৭-পয়েন্ট অ্যাজেন্ডা তৈরি করেছি। এরমধ্যে চাকরি, কৃষকদের দুর্দশা, ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের স্বার্থ, বেসরকারি স্কুলের লাগামছাড়া ফি ও নারী সুরক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’ এই লোকসভা কেন্দ্র এলাকায় শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্থানীয় হওয়ার জন্যই তাঁরা কাজ পাচ্ছেন না বলে মত কংগ্রেস প্রার্থীর। এই সমস্যা সমাধানে তাঁর বার্তা, ‘স্থানীয় চাকরি প্রার্থীদের জন্য ৩০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।’ পাশাপাশি, নির্বাচনে জিতলে কৃষক-সমস্যায় সমাধানে স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ লাগু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে অরবিন্দ কুমার সিং বলেন, ‘কৃষকদের অবস্থা একেবারেই ভালো নয়। বিভিন্ন কারণে চাষিদের জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। তবে, সময়ের মধ্যে তারা ক্ষতিপূরণের পাচ্ছে না। ফসলের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যও পাচ্ছেন না কৃষকরা। এই পরিস্থিতি বদলানো জরুরি।’
এই লোকসভা কেন্দ্রের অন্যতম ইস্যু ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের সমস্যা। এই বিষয়ে ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণেরও আশ্বাস দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী। অন্যদিকে, নয়ডার বেসরকারি স্কুলে ফি-এর মাত্রাও আকাশছোঁয়া। এই নিয়ে মধ্যবিত্তদের মধ্যে প্রচুর ক্ষোভ রয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে এই বিষয়টিও তুলে এনেছেন অরবিন্দ। বেসরকারি স্কুল গুলি যাতে ইচ্ছেমতো ফি চাপাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে নয়া আইন প্রণয়ন ও তার রূপায়ণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
প্রচারের ঝড় তুললেও দলের একাংশ অরবিন্দের উপর ‘বহিরাগত’ তকমা জুড়ে দিয়েছে। একই প্রচার করছে বিজেপিও। তবে এই তত্ত্ব মানতে নারাজ এই কংগ্রেস প্রার্থী। তাঁর কথায়, আমি মোটেও বহিরাগত নই। বিজেপিও এই নিয়ে প্রচার করতে চাইছে। ২০১৪ সালে আলিগড় থেকে প্রার্থী হয়েছিলাম। তার মানেই আমি বহিরাগত, একথা ঠিক নয়। ১৩ বছর বয়স থেকে আমি এখানের বাসিন্দা। স্কুল জীবনও এখানেই কেটেছে। ’
উন্নয়ন সহ একাধিক ইস্যুকে প্রচারে ব্যবহার করলেও জাত-পাতের রাজনীতি এই কেন্দ্রেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা রাহুল গান্ধীর দলের এই প্রার্থীর। প্রসঙ্গত, নয়ডা ছাড়াও এই কেন্দ্রের অধীনে দাদরি, জেওয়ার, খুরজা, সিকান্দ্রাবাদ বিধানসভা এলাকাও রয়েছে। এই জায়গাগুলিতে জয়-পরাজয় অনেকটাই ঠিক করেন ঠাকুর সম্প্রদায়ের ভোটাররা। তবে, এসব নিয়ে ভাবতে রাজি নন অরবিন্দ। তাঁর মতে, এই বিষয়গুলি উপেক্ষা করা যাবে না। তবে এই সব সমীকরণ নিয়ে চিন্তা করেও লাভ নেই।