কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
রাজ্যের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীর পরিবারের কারও স্মার্টফোন বা ইন্টারনেট নেই। তাই বাংলার শিক্ষা ওয়েব পোর্টালে দেওয়া অ্যাক্টিভিটি টাস্কের হার্ডকপি তৈরি করে মিড ডে মিলের সঙ্গে বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর। তা দেওয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই অ্যাক্টিভিটি টাস্ক করতে দিয়ে কেউ সমস্যায় পড়তে পারে। এছাড়া কারও কোনও বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন থাকতে পারে। এসব সমাধানের জন্যই টোল ফ্রি নম্বরের প্রস্তাবটি ওঠে। সূত্রের খবর, মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে এর জন্য শিক্ষকদের বাছাই করার ভার দেওয়া হতে পারে। গোটা প্রক্রিয়াতেই পর্ষদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকার কথা। প্রযুক্তিগত দিকগুলি নিয়েও আলাপ-আলোচনা চলছে। টোল ফ্রি নম্বর চূড়ান্ত হলে তা বাংলার শিক্ষা পোর্টালের পাশাপাশি অন্যভাবেও প্রচারের ভাবনা রয়েছে। একটি সূত্রের দাবি, যাদের স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট রয়েছে, তাদের জন্য একটি বিকল্প পদ্ধতিও ভাবা হচ্ছে। ক্লাসভিত্তিক শিক্ষকদের একটি পুল তৈরি করে পোর্টালে তাঁদের নম্বরগুলি দেওয়া হতে পারে যাতে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পড়ুয়ারা তাঁদের সাহায্য চাইতে পারে।
লকডাউন শুরুর পর টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদানের ব্যবস্থা শুরু করেছিল দপ্তর। আপাতত তা বন্ধ রয়েছে। নিজস্ব ওয়েব পোর্টালকেও অভিনবভাবে ব্যবহার করে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে গিয়েছে তারা। ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে স্থানীয় শিক্ষকরা যাতে তাদের পড়াশোনায় সাহায্য করেন, সেই আবেদনও রেখেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। বেশ কিছু জেলায় পার্শ্বশিক্ষকদের এই কাজে লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে বিভিন্ন জেলায় গাছতলায় এবং মাঠে সামাজিক দূরত্ব রেখে পড়ুয়াদের ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। টেলিফোনের মাধ্যমে পাঠদান শুরু হলে আরও একটি বিকল্প খুলে যাবে পড়ুয়াদের কাছে।