কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
অন্যদিকে, স্বাস্থ্যভবনের বড় কর্তাদের একাংশের মত, একেই জুন মাসের গোড়ায় বৃষ্টির নামগন্ধ না থাকা অবস্থাতেই ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু হল। গত বছর দুর্ধর্ষ প্রস্তুতির জন্য মোকাবিলাও ভালো হয়েছিল। মৃত্যু, আক্রান্তের সংখ্যা সবই ২০১৭’র তুলনায় কম হয়। এবার সময়ও নেই। সব প্রস্তুতি গুটিয়ে আনতে হবে।
ডেঙ্গু রুখতে কী কী প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে? দপ্তরের এক শীর্ষকর্তা বললেন, এক, জেলাস্তরে ডেঙ্গু রোগী আসতে শুরু করলে, চিকিৎসার সব বন্দোবস্ত তৈরি রাখা। চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় বলতে দুটি বিষয়। প্রথম, ডাক্তার-নার্সদের প্রশিক্ষণ এবং দ্বিতীয়, যেমন যেমন বলা হয়েছে ল্যাবরেটরিগুলি তেমনভাবে চালু আছে কি না। এছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে জ্বরজারি, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, আশপাশের জল জমা, আবর্জনা ইত্যাদির সম্পর্কে তথ্য নথিভুক্ত করাও রয়েছে। জেলাস্তরের সমস্ত জরুরি প্রস্তুতি বৈঠকও শেষ করে ফেলতে হবে ১২ জুনের মধ্যে।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী বলেন, ঠিকই। সিএমওএইচদের ‘সার্টিফিকেট’ দিতে বলা হয়েছে। যদি ওঁরা সেটাকে মুচলেকা মনে করেন, তো মুচলেকাই ধরুন। ডেঙ্গু নিয়ে ঢিলেঢালা মানসিকতা বরদাস্ত নয়। রুটিন কার্যক্রম চলবে। কিন্তু, প্রস্তুতি ১২ জুনের মধ্যে শেষ করে সার্টিফিকেট দিতে হবে।
এক নজরে ডেঙ্গু
ডেঙ্গু এক ধরনের ভাইরাস। চারটি টাইপের। এক, দুই, তিন ও চার। মূলত তিন ধরনের ডেঙ্গু হয়। ক্ল্যাসিক্যাল, হেমারেজিক ও শক সিনড্রোম।
দু’ধরনের মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এডিস ইজিপ্টাই এবং এডিস অ্যালবোপিকটাস।
ডেঙ্গু মশা কামড়ায় সকাল ও সূর্য ডোবার সময়। বাড়ে পরিচ্ছন্ন জলে।
টব, বাটি, চায়ের কাপ, ভাঁড়, অ্যাকোয়ারিয়াম, টায়ার, কারখানার জিনিসপত্র ইত্যাদি জায়গায় জল জমতে না দেওয়া এই মশা দমনের প্রধান উপায়।
অল্প থেকে ধুম জ্বর হয়। গা-হাত-পায়ে ব্যথা, প্রচন্ড মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, বমিভাব ও বমি, কখনও কখনও ডায়ারিয়া, ডিহাইড্রেশন, সর্দি-কাশি, গায়ে র্যা শ ইত্যাদি দেখা যায়।
প্লেটলেট কমতে থাকে। আচ্ছন্নভাব দেখা যায়। হেমারেজিক হলে মাড়ি, মল, যৌনাঙ্গ ইত্যাদি জায়গা থেকে রক্তপাত হতে পারে। শক সিনড্রমে রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
পাঁচ-সাতদিনের জ্বর থাকে। জ্বর যাওয়ার পরও দুর্বলতা থাকে।
ডেঙ্গুতে হার্ট, লিভার, মস্তিষ্ক এবং ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
উপসর্গ দেখে চিকিৎসা হয়। এখনও টিকা নেই। জ্বরের ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল, ফ্লুইড লস বা ডিহাইড্রেশনে জলের অভাব মেটাতে ফ্লুইড দিতে হয়। সেজন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। প্রচুর জল পান জরুরি। শরীর ঠিক রাখতে ফল খাওয়া যেতে পারে।
প্লেটলেট কাউন্ট ২০ হাজার এবং একইসঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তপাত শুরু হলে প্লেটলেট দিতে হতে পারে। নয়ত ১০ হাজার কাউন্টের নিচে প্লেটলেট দেওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। বয়স্ক ও বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা প্রয়োজন।
জ্বরের শুরুতে এনএসওয়ান অ্যান্টিজেন, পাঁচদিনের মাথায় আইজিএম, আইজিজি পরীক্ষা করা জরুরি।