পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
সুশীলবরণ লন্ডনের বাসিন্দা। এ বছর পাঁচ এপ্রিল তাঁর বড় দাদার মেয়ে বিশাখা চট্টোপাধ্যায়ের নিউটাউনে বাড়িতে আসেন। ২১ মে ভাইঝি ও জামাইয়ের সঙ্গে গঙ্গাসাগরে আসেন তীর্থ করতে। এসে জানতে পারেন ২৪ মে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা রয়েছে। তা জানার পর নেত্রীকে দেখার জন্য মন উতলা হয়ে ওঠে। ভাইঝিকে বিষয়টি বলেন। ইচ্ছেপূরণ করতে নবতিপর কাকাকে নিয়ে গঙ্গাসাগর থেকে ছ’কিলোমিটার দূরে কালীগিরি মন্দির মাঠে আসেন ভাইঝি বিশাখা দেবী। টানা আড়াই ঘন্টা ছাতা মাথায় সেখানে থাকেন সুশীলবাবু। সভাস্থলে বসে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা শোনার পর বাড়ি ফেরেন।
তিনি বলেন, ‘৬৩ বছর লন্ডনে বসবাস করছি। ওখানে বসেই সংবাদমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ শুনি। কিন্তু বাঙালি হয়েও কোনওদিন সামনাসামনি দেখার সুযোগ পাইনি। তাঁকে একবার দেখার প্রবল ইচ্ছে ছিল। তবে সুযোগ হয়নি। গঙ্গাসাগরে এসে স্বপ্নপূরণ হল। মমতা বাঙালিকে এক করেছেন। ভালো কাজ করছেন। তীর্থস্থানকে সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন। সভার কথা জানার পর দেখার ইচ্ছে আরও প্রবল হয়। তাই কষ্ট হলেও দেখতে এসেছি। একবার কথা বলারও ইচ্ছে। জানি না তা সম্ভব হবে কি না।’
এর পাশাপাশি এদিন সাগরের হরিণবাড়ি থেকেও মুখ্যমন্ত্রীর সভায় এসেছিলেন জোনাকি দাস নামে এক মহিলা। বক্তৃতা শুনতে শুনতে হঠাৎ দাঁড়িয়ে হাততালি দিতে থাকেন। মুখ্যমন্ত্রীকে হাত তুলে আশীর্বাদও করেন। তারপর বলেন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধের পর বার্ধক্য ভাতার জন্য ছোটাছুটি করতে হতো। আমার আর দু’বছর পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যেত। মুখ্যমন্ত্রী আজীবন করে দেওয়ার পর ঘরে বসেই সারা জীবন টাকা পাব।’ এদিন মনসাদ্বীপ থেকে আসা তাপসী জানাও উচ্ছ্বসিত। আবাস যোজনার তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেই, আনন্দে হাততালি দিয়ে ওঠেন তাপসীদেবী।