যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
এদিন সকালে বালিগঞ্জের মডার্ন হাইস্কুল ফর গার্লস-এ এসে ভোট দেন বসিরহাটের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা চিত্রাভিনেত্রী নুসরত। সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ ভোট দিয়ে তিনি বেরিয়ে যান তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের দিকে। যাওয়ার সময় আঙুলে ‘ভি’ চিহ্ন দেখিয়ে জয়ের আভাস দিয়ে যান। চারুচন্দ্র কলেজের একটি বুথে সকাল ১০টা ২০ নাগাদ ভোট দিতে আসেন অভিনেতা চিরঞ্জিত। তিনি শাসকদলের বিধায়কও। তাই তাঁর রাজনৈতিক পক্ষপাত নিয়ে সংশয় ছিল না কারও। ভোট দিয়ে বেরিয়েও তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, দিদির (মুখ্যমন্ত্রী) কথা মতো ৪২-এ ৪২-ই হচ্ছে। আমরা হয়তো তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও পেয়ে যাব। শেষ দফার ভোটের আগে কলেজ স্ট্রিটে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় তৃণমূলের সমর্থন আরও বেড়ে গিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেন তিনি। টালিগঞ্জের বাঙুর স্কুলে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ সপরিবারে ভোট দিতে আসেন অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের মেয়ে তথা অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক। রঞ্জিত মল্লিক বলেন, যে দলই সরকারে আসুক না কেন, আমরা চাই উন্নয়ন। মানুষে মানুষে অবিশ্বাসের বাতাবরণ, হিংসা, মারামারি, ঝগড়া যেন না থাকে— এটাই চাইব। কোয়েল বলেন, দেশের পরিকাঠামোর উন্নয়ন, কর্মসংস্থানে জোর দেওয়ার মতো কাজগুলি সরকার করুক— এটাই চাইব। এর কিছুক্ষণ পর এখানে ভোট দিতে আসেন অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করাকে কর্তব্য বলেই মনে করি। তাই ভোট দিয়ে গেলাম। যারাই নির্বাচিত হোক, তারা যেন দেশের ভালোর জন্য কাজ করে, দেশ যেন দুর্নীতিমুক্ত হয়— এটাই আশা থাকবে।
বালিগঞ্জের ডেভিড হেয়ার স্কুলে ভোট দেন মুনমুন সেন। তিনি আবার এবারের ভোটেই আসানসোল কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী। কলকাতায় অশান্তির টুকটাক ঘটনাকে ‘ছোট ঘটনা’ বলেই দাবি করেন তিনি। আশা প্রকাশ করে বলেন, তৃণমূলেরই ব্যাপক সাফল্য আসবে এবারের নির্বাচনে। বেলা ১টা নাগাদ চেতলা বালিকা বিদ্যালয়ে সপরিবারে ভোট দিতে আসেন মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর ছোট মেয়ে আফিসা হাকিম এবারই প্রথম ভোট দিলেন। প্রথমবার ভোট দিয়ে উচ্ছ্বসিত আফিসা বলেন, দারুণ লাগছে এতবড় একটা প্রক্রিয়ার অংশ হতে পেরে।