জেন-জ্যাকুইস মুয়েম্বে টামফুম : ইবোলা ভাইরাস খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন তিনি। বিগত প্রায় চার দশকের বেশি সময় ধরে এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন টামফুম।
গ্রেটা থুনবার্গ: বয়স ১৬ বছর। কিন্তু এর মধ্যে পরিবেশ নিয়ে সচেতনা এবং ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্য গোটা বিশ্বের নজর কেড়ে নিয়েছেন সুইডেনের স্কুলছাত্রী গ্রেটা থুনবার্গ। জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাণ ও প্রকৃতি ধ্বংসের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এর স্বীকৃতি স্বরূপ, তাঁকে ২০১৯ সালের ‘পার্সন অফ দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত করেছে টাইম ম্যাগাজিন।
নেনাদ সেস্টান: একটি শুয়োরের মস্তিষ্ক তার শরীর থেকে আলাদা করে বাইরে নিয়ে এসে পরীক্ষাগারে গবেষণা চালানো হয়। সে সময় পাম্প, হিটার ও কৃত্রিম রক্তের মাধ্যমে তার মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন চালু রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গোটা রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া নিরবচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। ৩৬ ঘণ্টা পর সেই মস্তিষ্ক পুনরায় স্থাপন করা হয়। এই গবেষক দলের নেতৃত্বে ছিলেন অধ্যাপক নেনাদ সেস্টান। এই গবেষণা রীতিমতো হইচই ফেলে দেয়।
রিকার্ডো গালভো: অ্যামাজনের জঙ্গলে বন্যাপ্রাণ ধ্বংস নিয়ে উদ্বেগজনক একটি রিপোর্ট তৈরি করেছিল রিকার্ডোর টিম। এই রিপোর্ট পেশ হতেই রে রে করে উঠেছিলেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি জায়ের বলসারেনো। রাতারাতি একজন পদার্থ বিজ্ঞানী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করে দেশের হিরো হয়ে ওঠেন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেলজয়ী: মানবদেহে কোষের অনুভূতি গ্রহণ ও অক্সিজেন মাত্রার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া — এই বিষয়ের উপরে গবেষণা করে চলতি বছরে চিকিৎসা বিজ্ঞান ও মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার পান উইলিয়াম কেইলিন জুনিয়র, গ্রেগ সেমেনজা এবং স্যার পিটার র‌্যাটক্লিফ।
পদার্থবিদ্যায় নোবেলজয়ী: জেমস পিবলিসকে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে ফিজিক্যাল কসমোলজিতে অবদানের জন্য। অন্যদিকে, মাইকেল মেয়র এবং দিদিয়ের কুলোজ নোবেল পেয়েছেন সূর্যের মতো নক্ষত্রকে পরিভ্রমণরত এক্সোপ্লানেটের আবিষ্কারের জন্য।
রসায়নে নোবেলজয়ী: বর্তমান বিশ্বে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া দূষণহীন ভবিষ্যতের জন্যও লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই ব্যাটারির আবিষ্কারক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন গুডেনো, স্টানলি হুইটিংহ্যাম ও জাপানের আকিরা ইওশিনো। এবার পেলেন সর্বোচ্চ স্বীকৃতি।
সংকলক: সুদীপ্ত সেন