পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মইবুল ২০১৩ এবং ২০১৮ সালে পর পর দু’বার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। তবে গত পঞ্চায়েতে টিকিট না পেয়ে অভিমানে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে হেরে যান। পরে নির্বাচন মিটতেই ফের তৃণমূলে ফেরেন। এলাকায় জনপ্রিয়তা ও ভালো জনসংযোগের কারণে এবার মইবুলকে বেতকুণ্ডু অঞ্চলের নির্বাচন কমিটির সহ সভাপতি করেছিল তৃণমূল। শুক্রবার রাতে ধামাইতনগরে বাদল মাইতির বাড়িতে তৃণমূলের নির্বাচন সংক্রান্ত মিটিং ছিল। ওই মিটিংয়ের পর খাওয়াদাওয়া সেরে মইবুল স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নীলিমা মান্নাকে ধর্মপুরে বাড়ি পৌঁছতে যান। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বাড়ি ফেরার পথেই মইবুলকে বিজেপি কর্মীরা অপহরণ করে বলে অভিযোগ। মইবুলের ভাই মসিবুল বলেন, দাদা, আমি আর এক তৃণমূল কর্মী দু’টি আলাদা বাইকে চেপে ধর্মপুর থেকে ধামাইতনগরে বাড়ি ফিরছিলাম। ওইসময় লক্ষ্মীকান্ত মান্নার বাড়ির কাছে ঢালাই রাস্তার উপর একদল লোক ঘিরে ফেলে। আমরা বাইক নিয়ে চলে এলেও দাদাকে ওরা আটকায়। পরে একাধিকবার ফোন করেও দাদাকে পাইনি। হঠাৎ একবার দাদা ফোন ধরে ক্ষীণ গলায় বলে, ‘আমাকে ওরা মেরে ফেলল, আর বাঁচব না’। মসিবুলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে দাদাকে কুপিয়েছে।
মহিষাদলের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীর অভিযোগ, ভোটের আগে উত্তেজনা তৈরি করতে বিজেপি এই খুন করেছে। ওই দিন রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ মইবুল নির্বাচনী মিটিং সেরে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন। পরে পুলিসের সহযোগিতায় রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। রাত ২টো নাগাদ হাসপাতালের পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
যদিও বিজেপি নেতৃত্ব ওই খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপির দাবি, মইবুল রাতে বিভিন্ন বুথে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভয় দেখাতে গিয়ে জনতার রোষের মুখে পড়েন। তখনই তিনি গুরুতর জখম হন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। তৃণমূলই বরং এলাকায় সন্ত্রাস তৈরির চেষ্টা করছে। পঞ্চায়েত ভোটে ওরা হেরে গিয়েছিল।