পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে সাইক্লোন রেমালের আঘাত হানার সম্ভাবনা আছে। এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে রবি ও সোমবার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সতর্কবার্তা এসেছে। রবিবার মাঝারি ও সোমবার অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। জেলা বিপর্যয় ও ব্যবস্থাপন দপ্তরের আধিকারিক কমল চক্রবর্তী বলেন, জেলা সদরে ইতিমধ্যেই একটি ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। শুক্রবার থেকেই কন্ট্রোল রুম চলছে। এই কন্ট্রোল রুমে এক জায়গায় সমস্ত লাইন ডিপার্টমেন্টের কর্মী ও আধিকারিকরা রয়েছেন। সবার ছুটি বাতিল হয়েছে। সোমবার অবধি এই কন্ট্রোল রুম সারাক্ষণের জন্য চলবে। তারপর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমারা সবদিক থেকে প্রস্তুত আছি। প্রতিটি মহকুমা ও ব্লকেও কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার পাঁচটি মহকুমায় পাঁচটি ‘কুইক রেসপন্স টিম’-কে (কিউআরটি) সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। যাতে কোথাও ঝড় ও দমকা বাতাসের জন্য গাছ পড়ে গেলে বা অন্য কোনও বিপর্যয় হলে দ্রুত সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়। প্রতিটি ব্লকে প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিংও করা হচ্ছে। কৃষিদপ্তরের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে চাষিদের সতর্ক করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিলি হচ্ছে। বিশেষ করে বজ্রপাতের সময় যাতে কেউ বাড়ির বাইরে না থাকেন, তার জন্য বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে।
জেলার কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, বিভিন্ন এলাকায় চাষিদের ফসল তুলে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে মাইকিং চলছে। অধিকাংশ জমিতে ধান কাটার পর মজুত করে রাখা হয়েছে। সেই ধানগুলি যেন অবিলম্বে তুলে নিতে বলা হচ্ছে। জেলায় খুব গতিবেগে ঝড় না হলেও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেজন্য চাষের জমিতে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে।
চাষিদের জানানো হয়েছে, বজ্রপাতের সময় মাঠের কাজ থেকে বিরত থাকুন। ফসলের ক্ষতি এড়াতে খেত থেকে দ্রুত জমা জল বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা রাখুন। যে সমস্ত ফসল তোলা বা কাটার উপযোগী হয়েছে তা কেটে দ্রুত গোলায় তুলে ফেলতে হবে। সব্জি ও ফলের ক্ষেত, বিশেষত পেঁপে ও কলা জাতীয় ফসলের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। যেগুলিতে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, সেগুলি যাতে সহজে ভেঙে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন। সব্জির মাচা ও পানের বরোজকে শক্ত করে বেঁধে রাখতে হবে যাতে প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে রক্ষা করা যায়। আবহাওয়ার উন্নতি হলে প্রয়োজনে ফসলে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে।