পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
তবে তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক তথা ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি বিকাশ করের অভিযোগ, ইড়পালা গ্রামপঞ্চায়েতের কিসমত দীর্ঘগ্রামে তৃণমূলের এক কর্মীকে বিজেপির কর্মীরা মারধর করে। ফলে প্রতাপ বেরা নামে তৃণমূলের ওই কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। ওই কর্মীকে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। ওই গ্রামপঞ্চায়েতের রাহাতপুর বুথের সামনে বিজেপি কর্মীরা গুণ্ডামি শুরু করলে পুলিস সন্তু ভুঁইয়া নামে এক বিজেপি কর্মীকে আটক করে।
ওই ব্লকের ৪০ নম্বর যদুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথের বাইরে তৃণমূলের কর্মীদের উপর বিজেপির কর্মীরা আচমকাই হুমকি দিতে শুরু করলে উভয়পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে ধস্তাধস্তি লেগে যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
তীব্র গরমকে উপেক্ষা করার জন্য সকাল সাড়ে ৫-৬টা থেকেই অধিকাংশ বুথে ভোটারদের লাইন পড়ে যায়। এদিন বেশ কিছু বুথে ভোট শুরু হওয়ার আগে কোনওটাতে ভিভিপ্যাট কোনওটাতে ইভিএম বিকল হওয়ার জন্য ভোট শুরু হতে দেরি হয়। মহকুমা শাসক বলেন, বিকল মেশিনগুলি বদলে দেওয়া হয়েছে। তবে ভোট পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির খবর পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার রাতে দাসপুরের কয়েকটি জায়গায় কিছুক্ষণের জন্য লোডশেডিং থাকায় ভোটকর্মীদের সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। অন্যদিকে ওই রাতেই দাসপুর বিধানসভার ২৩০ সাতপোতা প্রাথমিক বিদ্যালয় বুথে ভোটের ডিউটিতে থাকা এক পুলিস কর্মীকে সাপে কামড় দিলে অন্যান্য ভোটকর্মীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে যায়। দাসপুর-২ বিডিও প্রবীরকুমার শীট বলেন, রাতেই সেই পুলিস কর্মীকে সোনাখালি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিজেপির জেলা কমিটির এক নেতা তপনকুমার দত্তও জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচন বেশ শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছে। তবে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কয়েকটি এলাকায় বিজেপির এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। সিপিএমের পক্ষ থেকেও নির্বাচন নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য উত্তম মণ্ডলের অভিযোগ, ঘাটাল ব্লকের কয়েকটি জায়গায় তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী ভোটারদের হুমকি দিয়েছে। কয়েকটি পরিবারকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।
এদিন বেশিরভাগ বুথেই কোনও শেড ছিল না। তাই ভোটারদের তীব্র রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়েই ভোট দিতে হয়েছে। দাসপুর বিধানসভার ১৩৭ নম্বর বুথের ভোটার শিক্ষক দিলীপ দাস বলেন, এর ফলে বয়স্ক, অসুস্থ ও মহিলা ভোটারদের খুবই সমস্যা হয়েছে। তবে ওই বিধানসভার ৩৮ নম্বর বুথের মতো অনেক জায়গায় স্থানীয় ভোটারদের উদ্যোগে ত্রিপলের শেড করে দেওয়া হয়েছে।
এদিন বেশ কিছু বুথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীদের এক সঙ্গে বসে আড্ডা দিতে দেখা গিয়েছে। খাবার ভাগাভাগি করেও খেয়েছেন তাঁরা। দাসপুরের মামুদপুর বুথের বিজেপি কর্মী সুশান্ত চক্রবতী এবং ওই বুথের তৃণমূল নেতা তথা দাসপুর-১ গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান লাল্টু চক্রবর্তী বলেন, বন্ধুত্ব বন্ধুত্বের জায়গায়। তাই রাজনীতি নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করি না।