পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
এদিন সুজাতা গলসির সাঁকো এলাকার একাধিক বুথে যান। ইন্দাসের দশরথবাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন। সকাল থেকেই তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। ইন্দাস আসার পথে তাঁর গাড়ির পাশ দিয়েই বিজেপি প্রার্থী পেরিয়ে যান। পরে তৃণমূল প্রার্থী বলেন, কখন কার গাড়ি পেরিয়ে গিয়েছে লক্ষ্য করিনি। দেখা হলেও কথা বলতাম না। আমার উপর হওয়া অত্যাচারের কথা ভুলে যাইনি। রাত সাড়ে তিনটের সময় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলাম।
তৃণমূল প্রার্থী আরও বলেন, শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হয়েছে। মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন। বিজেপি কোথাও কোথাও অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। মা-বোনেরা ওদের জবাব দিয়েছে। তৃণমূল জিতছেই। এনিয়ে আর কোনও দ্বিমত নেই। ঝাড়গ্রাম থেকে আসানসোলের মধ্যে আমি একমাত্র মহিলা প্রার্থী। আমার নেত্রী মহিলা। সেই কারণেই মা-বোনেরা আমাকে আশীর্বাদ করেছেন।
২০১৯সালের লোকসভা নির্বাচনে সুজাতা স্বামী সৌমিত্র খাঁর হয়ে ভোটের লড়াই করেছিলেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র চষে বেড়িয়েছিলেন। সফলও হয়েছিলেন। নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয়েছিল। এবারের পটভূমি সম্পূর্ণ আলাদা। তাঁকে এবার প্রাক্তনের বিরুদ্ধেই লড়াই করতে হচ্ছে। তাই এই আসনে জয় তাঁর পক্ষে যথেষ্টই চ্যালেঞ্জের। তৃণমূল প্রার্থী বলেন, প্রচারের প্রথম থেকেই মায়েদের আশীর্বাদ পেয়েছি। তাঁরা আমাকে আশীর্বাদ করার জন্য দীর্ঘ সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে খাইয়েছেন। সেসব ভোলার নয়। মা-বোনেদের ভালোবাসা ইভিএমে প্রতিফলিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
এদিন তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে একটি মন্দিরে পুজো দিয়ে বিভিন্ন বুথে ঘুরতে থাকেন। বিজেপির দাবি, ভোটকেন্দ্রে তিনি ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। কত নম্বর বোতামে ভোট দিতে হবে তা তিনি ভোটারদের জানাতে থাকেন। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, তৃণমূল আতঙ্কে ভুগছে। সেকারণে ভোটের দিনেও প্রচার করছে। মানুষ কাকে ভোট দেবে তা আগে ঠিক করে নিয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী বলেন, আমি এই কেন্দ্রের ভূমিকন্যা। সবাই পরিচিত। বাড়ির লোকজনদের দেখা হলে কথা বলতেই পারি। এটাকে ভোটপ্রচার বলে না। বিজেপি জেনে গিয়েছে এবার ওরা হারছে। সেকারণেই এসমস্ত অভিযোগ করছে। এতে কোনও লাভ হবে না। এই কেন্দ্রে বিজেপির বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।