শরীর-স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি। উচ্চশিক্ষায় বাধা। সৃষ্টিশীল কাজে উন্নতি। পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। জ্ঞাতি বিরোধ সম্পত্তি ... বিশদ
আরামবাগ ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ব্লকে প্রথম পর্যায়ে ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে সাতশো মানুষকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ব্যাঙ্কিং সমস্যার কারণে এখনও টাকা পাননি। এছাড়াও ক্ষতিপূরণ পেতে নতুন করে প্রায় সাড়ে চার হাজার আবেদন দ্বিতীয় পর্যায়ে জমা পড়েছে। সেই আবেদন ব্লকের তরফে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারপর সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শন করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। ইতিমধ্যে যাঁদের বাড়ি পরিদর্শন করা হয়েছে, তাঁদের নামের তালিকা ব্লক অফিসে টাঙানো হয়েছে। সাধারণ মানুষ ওই তালিকা দেখে কারও বাড়ির ক্ষতি না হওয়া সত্ত্বেও নাম থাকলে সরাসরি ব্লক অফিসে আপত্তি জানাতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আবারও ওই ব্যক্তির বাড়ি পরিদর্শন করা হবে। তারপরই চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে জেলা স্তরে পাঠানো হবে। যদিও সোমবার বিকেল পর্যন্ত প্রকাশিত তালিকার পরিপ্রেক্ষিতে কোনও আপত্তি জমা পড়েনি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে উম-পুনের ক্ষতিপূরণ নিয়ে রাজ্যজুড়ে ভূরিভূরি অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও শাসক দলের নেতাদের স্বজনপোষণের বিষয়টি সামনে আসতেই ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়। তারপরই কঠোর মনোভাব দেখায় সরকার। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, অনিয়মে যুক্ত থাকলে দলের কাউকে রেয়াত করা হবে না। এরপরই ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে রাজ্যের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়। যদিও সেই কাজ এখনও সম্পূর্ণ করে উঠতে পারেনি মহকুমার বিভিন্ন ব্লক অফিস।
এরই মধ্যে নতুন করে ব্লক অফিসগুলিতে হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ায় কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ব্লক অফিসের কর্মীরা। তাঁদের একাংশের দাবি, প্রায় দু’মাস হতে চলল উম-পুন হয়েছে। যাঁরা টাকা পেয়েছেন, তাঁদের বাড়িতে গিয়েও এখন রিপোর্ট তৈরি করতে হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন করে আবেদনকারীদের বাড়ি তো আছেই। কিন্তু, দুর্যোগের এতদিন পর ক্ষতিগ্রস্ত কাঁচা বাড়ির চেহারা বদলে গিয়েছে। ঝড়ে ঠিক কতটা ক্ষতি হয়েছিল, তা এখন বুঝে ওঠা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তার উপরই আমাদের ভরসা করতে হচ্ছে।