শরীর-স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি। উচ্চশিক্ষায় বাধা। সৃষ্টিশীল কাজে উন্নতি। পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। জ্ঞাতি বিরোধ সম্পত্তি ... বিশদ
প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তি যাঁদের বাড়িতে আলাদাভাবে থাকা সম্ভব নয়, তাঁদেরই মূলত ওই হোমে এনে রাখা হবে। তারপর সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলবে। কিন্তু, আক্রান্তরা কেউই সেখানে আসতে রাজি হচ্ছেন না। প্রত্যেকেই নিজেদের বাড়িতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলাদা জায়গায় থাকছেন। অন্যদিকে, দিনকয়েক আগে হুগলির জেলাশাসক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, আরামবাগের সেফ হোমে বেশ কয়েকজন আক্রান্তকে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ইংরেজি মাসের ১৮ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই সেফ হোমটি চালু হয়। কিন্তু, চালুর পর থেকে প্রায় এক মাসে সেখানে একজন করোনা আক্রান্ত রোগীও থাকেননি। এনিয়ে গোঘাটের বিএমওএইচ শুভ ভট্টাচার্য বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের সেফ হোমে নিয়ে আসার কাজ প্রশাসনের। তবে সেখানে নিয়ে আসার পর চিকিৎসা পরিষেবা দিতে আমরা সবরকমভাবে প্রস্তুত রয়েছি। গোঘাটের দু’টি ব্লকে নতুন করে কেউ করোনা আক্রান্ত হননি। আগে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই ১৪ দিনের সময়সীমা অতিক্রম করেছেন। এখন তাঁরা সুস্থ আছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিকদাসের ওই কৃষক বাজারকে প্রথমে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলা হয়। এরপর সেটিকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য সেফ হোম সেন্টার করা হয়। সেইমতো পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজানো হয়। সবমিলিয়ে ওই সেফ হোমের অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জার কাজে খরচ হয় প্রায় দেড় কোটি টাকা। সেখানে বিদ্যুৎ পরিষেবা অব্যাহত রাখতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির একটি জেনারেটর ব্যবস্থা করে জেলা প্রশাসন। যার দৈনিক ভাড়া সাড়ে ছ’হাজার টাকা। অর্থাৎ মাসে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। এছাড়া ৩০টি স্ট্যান্ড পাখা হোমে রাখা হয়েছিল।
গত রবিবার সকালে অবশ্য হঠাৎই সেখান থেকে জেনারেটর ও পাখা সরিয়ে নেওয়া হয়। আর তারপরেই স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। তাঁদের একাংশের দাবি, কোটি টাকা খরচ করে সেফ হোম তৈরি হলেও কেন সেখানে একজনকেও নিয়ে আসা গেল না? হঠাৎ করে জেনারেটর ও পাখা সরিয়ে নেওয়া হল কেন? যদিও এব্যাপারে গোঘাট-১ বিডিও সুরশ্রী পাল বলেন, জেলার পিডব্লুডি দপ্তর একটি এজেন্সির মাধ্যমে জেনারেটরের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু, বর্তমানে সেই এজেন্সি বদল করা হয়েছে। যে কারণে পুরনো এজেন্সি তাঁদের জিনিসপত্র নিয়ে গিয়েছে।