শরীর-স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি। উচ্চশিক্ষায় বাধা। সৃষ্টিশীল কাজে উন্নতি। পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। জ্ঞাতি বিরোধ সম্পত্তি ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজদের বিরুদ্ধে রণকৌশল ঠিক করতে এবং বিপ্লবীদের সঙ্গে সভা করতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সাঁতুড়ির এই রাস্তা দিয়ে বর্ধমান গিয়েছিলেন। তার স্মৃতিতে পরবর্তী সময়ে রাস্তাটির নাম হয় ‘সুভাষ রোড’। এমনকী ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রামে বিখ্যাত ‘নেতাজি চক্ষু হাসপাতাল’ গড়ে তোলা হয়। সুভাষচন্দ্রের নামে নামাঙ্কিত ১৬ কিমি রাস্তাটি বর্তমানে বেহাল হয়ে পড়ায় নিত্যযাত্রী থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ ব্যাপক সমস্যায় পড়ছেন।
সুভাষ রোডের উপর ভরসা করে স্থানীয় বাসিন্দারা সাঁতুড়ি ব্লক অফিস, মুরাডি রেল স্টেশন, মুরাডি পঞ্চায়েত, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রামচন্দ্রপুর জলাধার, সেচ ও কৃষি দপ্তরে যাতায়াত করেন। সাধারণ মানুষ ছাড়াও প্রতিটি দপ্তরের আধিকারিকরা যাতায়াতের জন্য এই রাস্তাটিই ব্যবহার করেন। অথচ সাঁতুড়ি থেকে সুভাষ মোড় পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বেহাল ওই রাস্তাটির সংস্কারের বিষয়ে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। যদিও সাঁতুড়ির বিডিও রঞ্জন হাইত বলেন, এই রাস্তা সংস্কার করতে প্রচুর টাকার প্রয়োজন। যা আমাদের কাছে নেই। রাস্তাটির বিষয়ে জেলাকে জানানো আছে। একমাত্র জেলা পরিষদই রাস্তাটির সংস্কার কাজ করতে পারবে।
সাঁতুড়ি ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় তিন বছর আগে পঞ্চায়েত সমিতির অর্থে সাঁতুড়ি থেকে পাথরবাঁধ (ব্লক অফিস)পর্যন্ত ৭ কিমি রাস্তার সংস্কারের কাজ করা হয়েছিল। বাকি অংশের কাজ জেলা থেকে করার পরিকল্পনা নেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি। ফলে খানাখন্দে ভরে গিয়েছে রাস্তা। সাঁতুড়ি থানা এলাকার মানুষ কম বেশি এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন। তবে মুরাডি, রামচন্দ্রপুর, সাঁতুড়ি, তালবেড়িয়া, মুরুলিয়া, ভেটি, যশপুরের মতো গ্রামগুলির যাতায়াতের একমাত্র মূল ভরসা সুভাষ রোড। বর্তমানে রাস্তাটি দিয়ে দু’টি বেসরকারি বাস, কয়েকটি ট্রেকার চলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ায় প্রায় সময়ই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছে। বর্তমানে স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পেয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা।
এবিষয়ে পুরুলিয়া জেলা পরিষদ (সাঁতুড়ি ব্লক) সদস্য চৈতালি রায় বলেন, সুভাষ রোডের সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিষদে সমস্ত রকম কাগজপত্র দেওয়া আছে। আশা করছি, দ্রুত রাস্তার সংস্কার হবে।