শরীর-স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি। উচ্চশিক্ষায় বাধা। সৃষ্টিশীল কাজে উন্নতি। পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। জ্ঞাতি বিরোধ সম্পত্তি ... বিশদ
কাটোয়ার মহকুমা শাসক বলেন, আমরা সবসময় সচেতন হওয়ার জন্য প্রচার করছি। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া-১ ব্লকে ৩ জন, কাটোয়া-২ ব্লকে ৩ জন, কাটোয়া পুরসভা এলাকায় ৫ জন, কেতুগ্রাম-১ ব্লকে ১১ জন ও মঙ্গলকোট ব্লকে দু’জন আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও কেতুগ্রামে একদিনে ১১ জন আক্রান্ত হওয়ায় চিন্তায় পড়েছে ব্লক প্রশাসন। এই ব্লকের কান্দরা রামজীবনপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৬ জুলাই কিয়স্ক চালু করা হয়েছে। সেখান থেকেই সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিএমওএইচ বলেন, আমরা এলাকায় গিয়ে পুরো পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।
এদিকে আক্রান্তদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের ৮ জুলাই সোয়াব নেওয়া হয়। যদিও তার আগে তাঁরা কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। এমনকী প্রসূতি ও পুরুষ বিভাগে বেশ কয়েকজন ভর্তিও ছিলেন। পরে সুস্থ হয়ে যাওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছাড়াও পেয়ে যান। কিন্তু তাঁদের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তৎপরতা বেড়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ড স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি সেই হাসপাতালে ভর্তি থাকা আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ৬০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালেরও ১১৯ জন কর্মীকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তাঁদের প্রত্যেকের সোয়াব পরীক্ষা করা হবে।
হাসপাতালের সুপার বলেন, এদিন প্রসূতি বিভাগের মোট ৩২ জনের সোয়াব সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে সকলে সুস্থ আছেন। আমাদের আরও সচেতন থাকতে হবে।
যদিও বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ায় কাটোয়া থানার আইসির নেতৃত্বে এদিন বিশাল পুলিস বাহিনী শহরজুড়ে প্রচার চালিয়েছে। প্রত্যেকেই যাতে মাস্ক পরে বাইরে বের হন, তা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বাজারেও যাতে বিক্রেতারা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখেন তারও প্রচার চালানো হয়েছে।