শরীর-স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি। উচ্চশিক্ষায় বাধা। সৃষ্টিশীল কাজে উন্নতি। পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। জ্ঞাতি বিরোধ সম্পত্তি ... বিশদ
রবিবার বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আরও এক জুনিয়র চিকিৎসক সহ জেলায় মোট ১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে জেলায় মোট ৩১৬ জন আক্রান্ত হলেন। তাঁদের মধ্যে ৫৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার পেড্রিয়েটিক বিভাগের এক জুনিয়র চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সম্প্রতি মেডিসিন বিভাগের এক জুনিয়র চিকিৎসক করোনা পজিটিভ হয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে এই চিকিৎসক ঘোরাঘুরি করেন। তা জানার পরেই তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। রবিবার তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এরপরেই পেড্রিয়েটিক বিভাগে কর্মরত সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে আক্রান্ত চিকিৎসক যে সমস্ত শিশুর সংস্পর্শে ছিলেন, তাদের ও তাদের মায়েদেরও নমুনা পরীক্ষা করা হবে। পরবর্তী সময়ে কোনও উপসর্গ দেখা দিলে বাকিদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে।
বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, আরও এক জুনিয়র চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাই সতর্কতা হিসেবে আমরা ওই বিভাগে আপাতত খুব প্রয়োজন ছাড়া রোগী ভর্তি বন্ধ রাখছি। পাশাপাশি সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীদের ধাপে ধাপে করোনা পরীক্ষা করা হবে।
এছাড়াও রাইপুর গ্রামীণ হাসপাতালের এক রোগী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার জ্বর ও গলাব্যথা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। লালারস সংগ্রহের পর রবিবার রাতে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁকে ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে হাসপাতালের ইন্ডোরে নতুন করে রোগী ভর্তি নেওয়া হবে না বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে বর্তমানে ভর্তি থাকা সমস্ত রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা পরীক্ষা করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। বাঁকুড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন বলেন, নিরাপত্তার জন্য নতুন রোগী ভর্তি নেওয়া হবে না। তবে ইমার্জেন্সি ও আউটডোর পরিষেবা আগের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, এবার আরামবাগের নার্সিংহোমে ভর্তি এক মহিলার শরীরে করোনা ভাইরাসের হদিশ মিলতেই শহরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। সোমবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই ওই মহিলাকে নার্সিংহোম থেকে আরামবাগের করোনা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, অসুস্থতার কারণে রবিবার রাতেই তিনি ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন।
এছাড়াও মহকুমায় আরও ছ’জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১১ জুলাই তাঁদের করোনা পরীক্ষার জন্য লালারস সংগ্রহ করা হয়েছিল। রবিবার রাতে তাঁদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। জানা গিয়েছে, আক্রান্তরা আরামবাগের সালেপুর, তালা, গোঘাট-১ ব্লকের কুমুড়সা, গোঘাট-২ ব্লকের বদনগঞ্জ, কুমারগঞ্জ, খানাকুল-১ ব্লকের কাইবা ও পুরশুড়া ব্লকের দুলালবাটি এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে, পুরুলিয়ায় নতুন করে আরও তিনজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁডাল ১০৯ জন। জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন নিতুড়িয়া থানা এলাকার এবং অপরজন আদ্রা থানা এলাকার বাসিন্দা। আক্রান্তদের বাড়ির এলাকা ঘিরে দিয়েছে প্রশাসন।