শরীর-স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি। উচ্চশিক্ষায় বাধা। সৃষ্টিশীল কাজে উন্নতি। পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। জ্ঞাতি বিরোধ সম্পত্তি ... বিশদ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার জনের করোনা টেস্ট হয়েছে। গোড়ার দিকে এই জেলার স্যাম্পেল নিয়ে যাওয়া হতো নাইসেডে। তারপর নাইসেডের পরিবর্তে নমুনা যেত এসএসকেএম হাসপাতালে। রাজ্যের অন্যান্য জেলার থেকে নমুনা আসার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পূর্ব মেদিনীপুর এবং নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলা থেকে নমুনা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষা করানোর নির্দেশ আসে। সেইমতো কিছুদিন মেদিনীপুর মেডিক্যালে টেস্ট হয়। কিন্তু, পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্যজেলার এলাকা থেকে প্রতিদিন কয়েকশো নমুনা যেত। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে নমুনার পাহাড় জমে যাওয়ায় রিপোর্ট পেতে অনেক দেরি হতো। তাতে নানারকম সমস্যা বাড়ছিল। এই অবস্থায় পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্যজেলার যাবতীয় নমুনা আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ আসে। সেইমতো এখনও ওই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই টেস্ট হচ্ছে। আর নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলা এলাকায় নমুনার সংখ্যা তুলনায় কম। ওই স্বাস্থ্যজেলার নমুনা টেস্ট হচ্ছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
একটা সময় পর্যন্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার বেশি ছিল। কিন্তু, এখন পরিস্থিতির বদল হয়েছে। কলকাতা কিংবা বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াতের মাধ্যমে লোকজন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন এবং তা থেকে পরিবারের লোকজন দ্রুত সংক্রামিত হচ্ছেন। ১১ জুলাই জেলায় মোট ৫২ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। আক্রান্তদের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কম। বরং বাড়ি থেকে কর্মস্থল কিংবা কলকাতায় আসা যাওয়া করার সুবাদে তাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিয়েছে। জেলায় মোট আক্রান্ত প্রায় ৬০০ ছুঁইছুঁই। এই মুহূর্তে জেলায় করোনা আক্রান্তদের ভর্তির জন্য চণ্ডীপুর মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে তড়িঘড়ি ৫০টি বেড চালু করা হয়েছে। ৪০টি বেড বাড়ানো হয়েছে পাঁশকুড়ার মেচগ্রামে বড়মা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালেও। করোনা টেস্টের জন্য পূর্ব মেদিনীপুর এবং নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলাকে কোটা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্যজেলা ৭০০টি এবং নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলা ২০০টির মধ্যে নমুনা পাঠাতে পারবে। কিন্তু, তমলুক জেলা হাসপাতালে টেস্ট শুরু হলে তারচেয়েও বেশি টেস্ট করা যাবে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, তমলুক জেলা হাসপাতালে এবার থেকে করোনা টেস্ট হবে। প্রয়োজনীয় মেশিনপত্র চলে এসেছে। চলতি মাসের শেষ কিংবা আগস্ট মাসের প্রথম থেকেই করোনা টেস্টের জন্য আমাদের অন্যত্র নমুনা পাঠাতে হবে না।