শরীর-স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি। উচ্চশিক্ষায় বাধা। সৃষ্টিশীল কাজে উন্নতি। পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। জ্ঞাতি বিরোধ সম্পত্তি ... বিশদ
লালবাগ মহকুমার ভগবানগোলা-২ ব্লকের আখরিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩টি সংসদের মধ্যে আটটিই রয়েছে পদ্মার দক্ষিণ পাড়ে। বাকি পদ্মার উত্তর পাড়ে পাঁচটি সংসদ রয়েছে। প্রতি বছর বর্ষা শুরু হলেই নদীর দুই পাড়ের গ্রামবাসীদের ভাঙন নিয়ে আতঙ্ক শুরু হয়। যদিও গত দু’-তিন বছর জেলায় বর্ষার ঘাটতির কারণে চর এলাকায় নদীভাঙন সেভাবে হয়নি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আখরিগঞ্জের পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদীটি পদ্মার শাখা। পদ্মা নদীর মূল প্রবাহ আখরিগঞ্জ থেকে আরও ৪-৫ কিলোমিটার উত্তরে বাংলাদেশের সীমান্তের দিক দিয়ে বইছে। আখরিগঞ্জ পঞ্চায়েতের বুক চিরে বয়ে চলা পদ্মার শাখার উত্তর পাড়ের চরে গড়ে উঠেছে মহিষমারা, পাইকমারি, শয়তানপাড়া, মাঝচর, চর কৃষ্ণপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। শিবনগর, বেণীপুরের বাসিন্দারা বলেন, সারা বছর জল না থাকলেও বর্ষায় নদী ভরে ওঠে। নদীতে জলের স্রোতের গতি এতটাই থাকে যে নৌকায় একপ্রকার ঝুঁকি নিয়েই পারাপার করতে হয়। দিনকয়েকের বৃষ্টিতে নদীর দু’কূল ছাপিয়ে জল গ্রামে ঢুকে পড়ে। গ্রামবাসীদের অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়। এখনও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি না হলেও নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন দুই পাড়ের মানুষজন। চরকৃষ্ণপুরের বাসিন্দারা বলেন, নদীতে জল বাড়তে শুরু করলেই আমরা আতঙ্কে থাকি। ভাঙনের কারণে চরের বাসিন্দাদের একাধিকবার গৃহহীন হতে হয়েছে। হারাতে হয়েছে চাষের জমি, গবাদি পশু।
তৃণমূল পরিচালিত আখরিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাভলি বিবি বলেন, দিন সাতেকের বৃষ্টিতে নদীর জল হাত দুয়েক বেড়েছে। আরও বাড়লে নদী ভরে যাবে। তবে এখন থেকেই আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে শুরু করেছি। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। ভগবানগোলা-২ ব্লকের বিডিও তাপস হাজরা বলেন, বর্ষায় নদীতে জল তো বাড়বেই। তবে এখনই ভয়ের কিছু নেই। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।