অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
পৌষমেলা থেকে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ ছড়াচ্ছে। সেকথা জানিয়ে পরিবেশ আদালতে মামলাও চলে। দীর্ঘ টালবাহানার পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট সিদ্ধান্ত নেয় এবছরের মেলা করার। তারজন্য বিভিন্ন নতুন নিয়ম নিয়ে আসা হয়। মূলত ভাঙামেলা থেকেই দূষণ বেশি হচ্ছে। সেকথা মাথায় রেখে এবছর থেকে চারদিনের পৌষমেলা করা হচ্ছে। থাকছে না কোনও ভাঙামেলা। অন্যদিকে মেলায় স্টল বুকিংয়ের ক্ষেত্রে দুর্নীতির কথা বারবার উঠে আসে। তাই এবছর থেকেই প্রথম স্টল বুকিং সহ সমস্ত কিছুই করা হয়েছে অনলাইনে। গত মঙ্গলবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সাংবাদিক বৈঠক করে স্টল বুকিংয়ের ওয়েবসাইট সহ সমস্ত প্রক্রিয়া জানিয়ে দেয়। তারপর বুধবার থেকে অনলাইনে স্টল বুকিং শুরু হয়েছে।
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, অনলাইন বুকিং প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার প্রথম দু’দিনে মাত্র ১০০-র কয়েকটি বেশি বুকিং হয়েছে। যা অন্যান্যবারের তুলনায় অনেকটাই কম। কারণ হিসেবে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত বছরগুলিতে অফলাইনে স্টল বুকিং করা হতো। মেলার জন্য বুকিং শুরু হলেই অনেকেই প্রথম কয়েকদিনের মধ্যেই শান্তিনিকেতনে এসে সরাসরি স্টল বুক করে নিতেন। কিন্তু, এবছর থেকে অনলাইন হয়ে যাওয়ায় অনেকের হয়তো বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। সেজন্যই বুকিং ধীর গতিতে হচ্ছে। অন্যদিকে এবছর পৌষমেলায় বেশকিছু নতুন নিয়ম আনতে চলেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। প্রতিবার দেখা যায়, দূর-দূরান্ত থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকরা মেলার মধ্যে নিজেদের দল বা পরিবার থেকে হারিয়ে যান। ভিড়ের চাপ অত্যন্ত বেশি থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কগুলিও ঠিকঠাক কাজ করে না। অনেক সময় তাঁদের নিজেদের পরিজন ও বন্ধুদের খুঁজে পেতে অসুবিধা হয়। সেজন্য এবছর থেকে মেলায় স্টলের সারি বা রো চিহ্নিতকরণ করার কথা ভাবা হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সারিতে নানান ধরনের দোকান না করে খাবারের দোকান, খেলনার দোকান, জামা-কাপড়ের দোকান, প্রদর্শনী সহ আলাদা দোকানের জন্য আলাদা সারি করার কথা ভাবা হচ্ছে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট মনে করছে, এভাবে মেলা পরিচালনা করলে অনেকটাই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে আসন্ন পৌষ উৎসব।
শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য অনিল কোনার বলেন, মেলার সমস্ত ধরনের প্রক্রিয়া অনলাইন করার পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে মেলা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।