উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
বন দপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ভগবানপুরের উড়উড়ি এলাকায় উদবাদাল খালে ডলফিনটি দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। সাধারণত নদী বা সমুদ্রে থাকে ডলফিন। কিন্তু গ্রামের খালে ডলফিন এসেছে শুনেই অবাক হয়ে যান স্থানীয় মানুষজন। আট থেকে আশি বহু মানুষ ডলফিনটিকে দেখতে ভিড় জমান। এভাবে ডলফিনকে গ্রামের মধ্যে দেখতে পাওয়ায় এলাকার বাসিন্দাদের উৎসাহ এবং আনন্দের অন্ত ছিল না। স্থানীয় লোকজন সেই প্রাণীটিকে তাড়া করতেও শুরু করেন। খবর পেয়ে বন দপ্তরের লোকজন এবং ভূপতিনগর থানার পুলিস হাজির হয়ে যায় ডলফিনটির উপর নজরদারি করার জন্য। শুক্রবার দিনভর খালের পাশে বন দপ্তরের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ডলফিনটির যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেটি যাতে সমুদ্রের দিকে নির্বিঘ্নে এগিয়ে যেতে পারে, সেজন্য একটি যন্ত্রচালিত নৌকায় বসে বার বার ডলফিনটি তাড়িয়ে নিয়ে যান বন দপ্তরের কর্মীরা। খালের পাশে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছিল। বন দপ্তরের লোকজন ডলফিনটিকে উড়উড়ি থেকে নন্দীচক পর্যন্ত ১১কিলোমিটার সমুদ্রের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যান। খালের আশপাশের লোকজন দেখে এবং বন দপ্তরের কর্মীদের তাড়া খেয়ে ডলফিনটি আরও ভেতরের দিকে চলে যায়। তারপর ইটাবেড়িয়া খালে ঢুকে পড়ে। রাত হয়ে যাওয়ায় হাল ছেড়ে দেন বন দপ্তরের কর্মীরা। অবশেষে শনিবার ডলফিনটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজনরা বন দপ্তরের হাতে তুলে দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক অজিতকুমার জানা বলেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রাণীটিকে বাঁচানো গেলে ভালো হতো। এলাকার বাসিন্দা বিষ্ণুপদ ভুঁইয়া ও টিঙ্কু পাল বলেন, বন দপ্তর একটু নজর দিলে ডলফিনটি হয়তো বেঁচেই যেত। তবে এলাকার মানুষজন ডলফিনটির কোনও ক্ষতি চাননি। তাঁরা ডলফিনটি যাতে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হয় কিংবা নির্বিঘ্নে সমুদ্রের দিকে যেতে পারে সেই চেষ্টাই করেছিলেন। কিন্তু বন দপ্তর যতটা চেষ্টা করার দরকার ছিল, তা করেনি।
বন দপ্তরের বাজকুল বিভাগের রেঞ্জ অফিসার বাণীব্রত সামন্ত বলেন, আমরা ডলফিনটি বাঁচাতে পারিনি। খুবই কষ্ট লাগছে। তবে আমরা চেষ্টার কোনও কসুর করিনি। প্রায় দু’দিন ডলফিনটির পিছনেই আমরা পড়েছিলাম। কেউ যদি বলে বন দপ্তর ব্যর্থ হয়েছে, তাহলে আমরা তা মেনে নিচ্ছি।