যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
২০১৪সালের লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১০৪৬, বিজেপি ১১৭০, সিপিএম ২৬২ এবং কংগ্রেস ৫৯টি ভোট পায়। ২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১০২২, বিজেপি ৮৪৭, সিপিএম ১৯৯ এবং কংগ্রেস ১৯২টি ভোট পায়। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ৮৯৩, বিজেপি ৬৫০, সিপিএম ৪০৯ এবং কংগ্রেস ৪৫টি ভোট পায়। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১২৩২, বিজেপি ১১০৮, সিপিএম ১৩৭৬ এবং কংগ্রেস ৮১টি ভোট পেয়েছিল। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১৪৭১, বিজেপি ১৫৩১, সিপিএম ৭৬২ এবং কংগ্রেস ৭৪টি ভোট পায়। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১২৮৮, বিজেপি ৯৬০, সিপিএম ৫৬৪ এবং কংগ্রেস ৫২টি ভোট পায়। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১৬০৮, বিজেপি ১৪১৫, সিপিএম ৯২১ এবং কংগ্রেস ৫৭টি ভোট পায়। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১১৩৩, বিজেপি ৯৮৫, সিপিএম ২৮৮ এবং কংগ্রেস ৫০টি ভোট পায়। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১৭৮৬, বিজেপি ১১০৬, সিপিএম ৪২৮ এবং কংগ্রেস ৬৫টি ভোট পেয়েছিল। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১৭৬৮, বিজেপি ১২৫০, সিপিএম ৮০৪ এবং কংগ্রেস ১০২টি ভোট পায়। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১৯৪৪, বিজেপি ১৫৬২, সিপিএম ১৩৯৯ এবং কংগ্রেস ১০৫টি ভোট পায়। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১২৮৬, বিজেপি ৯৩৮, সিপিএম ১০৮৬ এবং কংগ্রেস ১৪৭টি ভোট পায়। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১৯৯৬, বিজেপি ১২০৩, সিপিএম ৫৭৬ এবং কংগ্রেস ৮৭টি ভোট পেয়েছিল। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১৩৬৫, বিজেপি ৮৩৪, সিপিএম ২৫১ এবং কংগ্রেস ৩৫৫টি ভোট পায়। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১৫৮০, বিজেপি ১৩৪২, সিপিএম ১২১৪ এবং কংগ্রেস ৮৫টি ভোট পায়। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১৩৩০, বিজেপি ১১৫৪, সিপিএম ৫০৩ এবং কংগ্রেস ৫১টি ভোট পেয়েছিল। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১৪৮৬, বিজেপি ১১৫৯, সিপিএম ৬৩৩ এবং কংগ্রেস ৬৫টি ভোট পায়। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১০৪৪, বিজেপি ১২৫৬, সিপিএম ৪৬৫ এবং কংগ্রেস ১৬৭টি ভোট পায়। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১৫৮৯, বিজেপি ১২২৯, সিপিএম ১৬২৩ এবং কংগ্রেস ২১৭টি ভোট পায়। ২০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ২০৩৭, বিজেপি ১৪০৮, সিপিএম ১০৩০ এবং কংগ্রেস ৪৯টি ভোট পায়। ২১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১৪০৯, বিজেপি ৮৪২, সিপিএম ৪০৯ এবং কংগ্রেস ৪৫টি ভোট পায়। ২২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১৭০২, বিজেপি ১৫৭২, সিপিএম ১২৮৫ এবং কংগ্রেস ৯৪টি ভোট পেয়েছিল। শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ১২৩১, বিজেপি ১৫২১, সিপিএম ৭০৮ এবং কংগ্রেস ৭৩টি ভোট নিজেদের ঝুলিতে ভরতে সমর্থ হয়।
মোট প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে ছিল। ২৩টি ওয়ার্ড মিলিয়ে তৃণমূল ৩৩ হাজার ২৪৬, বিজেপি ২৭ হাজার ৪২, সিপিএম ১৭ হাজার ১৯৫ এবং কংগ্রেস ২ হাজার ৩১৭টি ভোট পায়। তৃণমূল প্রার্থী শহরে ৬ হাজার ২০৪ ভোটে ‘লিড’ পান। তবে পুরসভা বা বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে লোকসভা ভোটের অনেক ফারাক থেকে যায়। কারণ ২০১৪ সালের ভোটের হিসেবে শহরের চারটি ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও ২০১৫ সালের পুরভোটে গেরুয়া শিবির মাত্র দু’টি ওয়ার্ড দখল করে। একটিতেও এগিয়ে না থেকেও কংগ্রেস ২ নম্বর ওয়ার্ড দখল করে। ফলে সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলাফলের সঙ্গে লোকসভার ফলের পার্থক্য হবে বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত।
বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান তথা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, গত পাঁচ বছরে বাঁকুড়া শহরে আমরা অনেক কাজ করেছি। ফলে শহরবাসী এবার আমাদের পক্ষেই রায় দেবে।
১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা জেলা বিজেপি-র সহ সভাপতি নীলাদ্রিশেখর দানা বলেন, এবার শহরে আমাদের ফল আগের তুলনায় অনেক ভালো হবে।
সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা কমিটির সদস্য তথা শহরের বাসিন্দা প্রতীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, শহরে ভালো ফলের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলার তথা দলের জেলা মহিলা সংগঠনের সভানেত্রী রাধারানি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুরসভা ভোটে প্রার্থী দেখে মানুষ ভোট দেয়। লোকসভা নির্বাচন অন্য প্রেক্ষাপটে হয়। ফল প্রকাশের পর বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।