যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
এই পঞ্চায়েত এলাকায় পানীয় জলের কোনও প্রকল্প নেই। গ্রামের বাসিন্দাদের টিউবওয়েলের জলের উপরই ভরসা করতে হয়। জানা গিয়েছে, মোস্তফাডাঙাপাড়া, নবগ্রাম, বানসোর, নগরা, ভগলদিঘি, বিরলচৌকি, হাজারপুর, কাঁটাগড়িয়া সহ ১৩টি গ্রামের অধিকাংশ টিউবওয়েল অকেজো হয়ে পড়েছে। সেগুলি সংস্কার না হওয়ায় স্বভাবতই গ্রামগুলিতে পানীয় জলের হাহাকার দেখা দিয়েছে। অনেকে পুকুর বা ডোবায় জমে থাকা জলে গৃহস্থালির কাজ সারছেন। পানীয় জলের জন্য দূরবর্তী এলাকার টিউবওয়েলের উপর ভরসা করতে হচ্ছে। গ্রামের বাসিন্দারা অবশ্য বলছেন, আমাদের জলকষ্টের ছবিটা বেশ পুরনো। ফি বছর গরমের এই সময় পানীয় জল পেতে সমস্যায় পড়তে হয়। গত কয়েকদিন ধরে তীব্র দাবদাহ চলায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এর জেরে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষজন। ভগলদিঘি গ্রামের বাসিন্দা আপেল হক, ইয়ারনেশা বিবি বলেন, এক মাস ধরে গ্রামের ১২টির বেশি টিউবওয়েল অকেজো। দক্ষিণপাড়ায় একটি টিউবওয়েল সারানোর জন্য মিস্ত্রি এসেছিল। তাঁরা সারাইয়ের নামে টিউবওয়েলের যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে গিয়েছে। গত রমজান মাসের সময়ও গ্রামের আরও একটি টিউবওয়েলের যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু এখনও সেটা মেরামত হয়নি।
আরএক বাসিন্দারা বলেন, রমজান মাসের এই সময় বাড়ির মহিলারা প্রায় পাঁচশো মিটার দূরে অন্য পাড়ার টিউবওয়েলে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে জল নিয়ে এসে ইফতারের ব্যবস্থা করছেন। ভোরে রান্নার জন্য মহিলারা রাত থেকে টর্চ, হ্যারিকেন হাতে দূরের কলে লাইন দিচ্ছেন। সেখানে জল সংগ্রহ ঘিরে অশান্তিও হচ্ছে। গ্রামের জনপ্রতিনিধি থেকে পঞ্চায়েত অফিসে জানিয়েও কোন সুরাহা হচ্ছে না। একইভাবে লাগোয়া গ্রামগুলির পানীয় জলের হাহাকারের চিত্র একই। ওই সমস্ত গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, দূর থেকে জল সংগ্রহ করে তো পান করা, সংসারের সব কাজে ব্যবহার করা সম্ভব নয়। তাই আন্ত্রিক হবে জেনেও পুকুরের জল ব্যবহার করতে হচ্ছে। একটু জলের জন্য রোজার মধ্যেই ছুটে বেড়াতে হচ্ছে তাঁদের।
এব্যাপারে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তাপস মাল বলেন, হঠাৎ জলস্তর নেমে যাওয়ায় ১৩ টি গ্রামের ৮৯টি টিউবওয়েল অকেজো হয়ে পড়ায় পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। গভীরতা বাড়ানো ছাড়া কোনও উপায় নেই। কিন্তু গভীরতা বাড়াতে হলে অ্যাকশন প্ল্যান করতে হয়। তার জন্য চতুর্দশ অর্থ কমিশনের অনুমোদন নিতে হয়। সেই মতো বিডিওর কাছে অ্যাকশন প্ল্যান জমা দিয়েছি।
বিডিও রাজদীপশঙ্কর গৌতম বলেন, আগে ব্লক থেকে টিউবওয়েলগুলি সারানো হতো। কিন্তু বর্তমানে পঞ্চায়েত সেগুলি দেখাশোনা করে। আমরা পঞ্চায়েত থেকে অকেজো টিউবওয়েলের তালিকা নিয়েছি। যেগুলি কম গভীরতা সম্পন্ন টিউবওয়েল সেগুলি সারানোর জন্য পঞ্চায়েতকে অনুমতি দেওয়া হবে। যেগুলির গভীরতা বেশি সেগুলি সচল করতে পিএইচইর সাহায্য দরকার। সেক্ষেত্রে জেলায় জানানো হবে। এখন কবে টিউবওয়েলগুলি সচল হয়, সেদিকেই চাতক পাখির মতো চেয়ে রয়েছেন গ্রামবাসীরা।