কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বলেন, কর্মী নিয়োগে স্বচ্ছতা রাখা দরকার। পুর কর্তৃপক্ষ অডিট রিপোর্টও সাইটে রাখেনি। আমাদের মনে হচ্ছে কোথাও কিছু লুকানোর চেষ্টা হচ্ছে। পুরসভার সচিব সপ্তর্ষি নাগ বলেন, টেকনিক্যাল কিছু সমস্যার কারণে ওয়েবসাইটে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা দ্রুত সচল করার চেষ্টা করছি।
বাম শাসিত শিলিগুড়ি পুরসভা চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী পদে ৫৫ জনকে নিয়োগ করতে চলতি মাসের ১৮ তারিখ বিজ্ঞপ্তি দেয়। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সুইপার পদে ৩৬ জন, লেবার পদে ১১, মজদুর ও গার্ড পদে একজন করে মোট দু’জন এবং পিয়ন পদে ছ’জনকে নিয়োগ করা হবে। ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সিরা আবেদন করতে পারবেন। প্রতিটি পদের জন্য অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ হতে হবে। ২০ মার্চের মধ্যে আবেদন করতে বলা হলেও কয়েকদিন ধরেই পুরসভার ওয়েবসাইটে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ওয়েরসাইটে ক্লিক করলেও তা খুলছে না। পুরভবনে সরাসরি এসে আবেদন জমা করতে বলা হয়েছে। কিন্তু ওয়েবসাইটে সমস্যা দেখা দেওয়ায় কর্মপ্রার্থীরা পুরসভার ল্যান্ড লাইন নম্বরে ফোন করছেন। এখানেও বিপত্তি, অনবরত ফোন আসায় ওই লাইন অধিকাংশ সময়েই ব্যস্ত থাকছে। কী করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন পৌঁছবে তা নিয়ে দূরদূরান্তের কর্মপ্রার্থীরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
এপ্রসঙ্গে পুরসভার আইটি সেল জানিয়েছে, তাদের ওয়েবসাইটের ক্যাপাসিটি প্রতি মাসে ৩০ জিবি। কিন্তু বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ওয়েবসাইট ভিজিটরের সংখ্যা বাড়তে থাকায় তা একলাফে ১০ জিবি বৃদ্ধি করাতেও কাজে আসেনি। আইটি সেল সূত্রে খবর, গত শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে অতিরিক্ত আরও এক জিবি করে ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তাতেও কাজ হয়নি। তারপরেই ওয়েবসাইট স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন কোনও পেজ আর খুলছে না। আইটি সেলের টেকনিক্যাল অফিসাররা জানিয়েছেন, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৪০০ জন সাইট ভিজিট করত। কিন্তু নিয়োগের বিজ্ঞাপন ছাড়ার পর তা ২৫ গুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন দিনে ১০ হাজারের বেশি লোক সাইটে ভিজিট করছেন। যেকারণে পুরসভার সার্ভারের গতি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ক্যাপাসিটি বৃদ্ধির তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সেটা হতেও এ সপ্তাহ লাগবে বলে আইটি সেল জানিয়েছে।