কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
শহরের বাড়ি বাড়ি পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য ২০১৮ সালে ৪১ কোটি টাকার ডিপিআর পুর দপ্তরে জমা দিয়েছিল তৎকালীন পুর বোর্ড। কিন্তু তার পর থেকে পুরসভা সেই প্রকল্পের বিষয় তৎপর না হওয়ায়, ঠান্ডা ঘরেই পড়ে থাকে ফাইল। পুরসভা নির্বাচনের মুখে প্রস্তাবিত জল প্রকল্প নিয়ে আবার তৎপর হয়েছে বর্তমান পুরবোর্ড। এর মধ্যে প্রায় দু’বছর কেটে যাওয়ায় নতুন করে ডিপিআর জমা দিতে হয়েছে। প্রকল্পের কিছু রদবদল হয়েছে। পুর এলাকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আবার নতুন করে ডিপিআর জমা দিতে হয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যানের দাবি, শহরবাসীর প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের প্রকল্পের কাজ শুরু করার জন্য ইতিমধ্যেই পুর দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তিনি। এদিকে পুরসভার মেয়াদ শেষ হতে চললেও পানীয় জল প্রকল্পের কাজ করতে না পারায় সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। পুরভোটে যাতে পানীয় জল প্রকল্প বিরোধীদের হাতিয়ার না হয়ে ওঠে, সেজন্য নতুন ডিপিআর পাঠিয়ে পুর দপ্তরের সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায় রয়েছে গঙ্গারামপুর পুরসভা।
গঙ্গারামপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাকেশ পণ্ডিত বলেন, গঙ্গারামপুর শহরের বাসিন্দাদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দিতে রাজ্য পুরদপ্তরে ডিপিআর করে পাঠানো হয়েছে। প্রায় ৫০ কোটি টাকা আর্থিক ব্যয়ে পরিশ্রুত পানীয় জল প্রকল্পের কাজ করা হবে। প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি। রাজ্য পুর দপ্তরের সবুজ সঙ্কেত পেলেই আমরা কাজ শুরু করে দেব। শহরের পুনর্ভবা নদীর জল তুলে তা পরিশ্রুত করে
শহরবাসীর ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে পানীয় জল। প্রাথমিকভাবে আমরা জমি দেখার কাজ সম্পন্ন করে ফেলেছি। পুর নির্বাচনের আগেই আমরা পুর দপ্তরের সবুজ সঙ্কেত পেয়ে যাব। শহরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে বর্তমান পুর বোর্ড তৈরি রয়েছে। আমরা বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের যে কাজ করেছি, পুরবাসী আগামী দিনে তার সুফল পাবেন। একথা এবার প্রচারে রাখব আমরা।
গঙ্গারামপুর শহরের বাসিন্দা, সিপিএমের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সম্পাদক নারায়ণ বিশ্বাস বলেন, শাসকদলের পুরবোর্ড সাধারণ মানুষকে ন্যূনতম পরিষেবা দেওয়ার কথা চিন্তা করে না। গঙ্গারামপুর পুরসভার বেশিরভাগ ওয়ার্ডে জলের সমস্যা রয়েছে। গ্রীষ্মকালে জলের স্তর নীচে নেমে গেলেই টিউবওয়েল দিয়ে জল পড়ে না। পিএইচই’র জলের উপর ভরসা করে থাকতে হয় সাধারণ মানুষকে। রজত জয়ন্তী উপলক্ষে পুরসভা ঘোষণা করেছিল, গঙ্গারামপুর শহরের পুনর্ভবা নদী থেকে জল তুলে নাকি বাড়ি বাড়ি জলের পরিষেবা দেবে। বর্তমানে নদীর বেহাল অবস্থা। নদীতেই ঠিকমতো জল থাকে না। আদৌও পুরবাসী কবে বিশুদ্ধ পানীয় জল পাবেন, তা প্রশ্নের মুখে। বাড়ি বাড়ি জলের দাবিতে আমরা আন্দোলন সংগঠিত করব।
গঙ্গারামপুর পুরসভার প্রাক্তণ চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র বলেন, আমি চেয়ারম্যান থাকার সময় ডিপিআর করে পুর দপ্তরের পাঠিয়েছিলাম। বর্তমানে পুরবোর্ড নতুন কোনও কাজ করতে পারেন। আমি শহরবাসীর
প্রত্যাশা পূরণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। ওরা সেটারও অনুমোদন নিয়ে কাজ শুরু করতে পারল না। সামনেই পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। এই সময়ের মধ্যে আর কাজ করা সম্ভব নয়।
গঙ্গারামপুর শহরজুড়ে এমনিতেই পানীয় জলের সঙ্কট রয়েছে। তার উপর শহরজুড়ে পানীয় জলে ফ্লোরাইড মিলছে বলে জানা গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শহরবাসীর বাড়ি বাড়ি পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। পুরভোটের আগে এই পানীয় জল প্রকল্পকেই ইস্যু করতে চাইছে বিরোধীরা।