পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছর ৯-১১ এপ্রিল ‘প্রোজেক্ট টাইগার’-এর ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান হয়েছিল মাইসুরুতে। আয়োজনের দায়িত্বে ছিল জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ পর্ষদ (এনটিসিএ) এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক (এমওইএফ)। সেই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন উপলক্ষ্যেই এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওঠেন র্যাডিসন ব্লু প্লাজা হোটেলে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কর্ণাটকের বনদপ্তরকে। প্রাথমিকভাবে বাজেট নির্ধারিত হয় তিন কোটি টাকা। আশ্বাস ছিল, পুরো খরচই কেন্দ্র মেটাবে। কিন্তু খুব কম সময়ের নোটিসে প্রধানমন্ত্রীর থাকা সহ ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত খরচ দ্বিগুণ হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় অফিসারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে অবশ্য পরিমার্জিত কোটেশন পেশ করেছিল বরাত পাওয়া ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা। যদিও অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর কেন্দ্র ৩ কোটি টাকা পাঠায়। সামগ্রিকভাবে আরও ৩ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা এখনও বকেয়া।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছর অক্টোবরে এব্যাপারে কর্ণাটকের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) চিঠি লিখেছিলেন এনটিসিএ-এর ডেপুটি ইনসপেক্টর জেনারেলকে। জবাবে মাইসুরুর ওই হোটেলের বকেয়া বিল মেটানোর ভার রাজ্য সরকারের উপর চাপিয়ে দেয় এনটিসিএ। চলতি বছরের মার্চে তাদের আরও একটি চিঠি দেয় বনদপ্তর। জানায়, র্যাডিসন ব্লু প্লাজা হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর থাকার বিল বাবদ ৮০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা এখনও মেটানো হয়নি। যদিও কেন্দ্র সব খরচ বহনের আশ্বাস দিয়েছিল। কেন্দ্রের তরফে এই চিঠির কোনও জবাব এখনও আসেনি বলে খবর। এই অবস্থায় মাইসুরুর ওই হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার (ফিন্যান্স) গত ২১ মে চিঠি দিয়েছেন সহকারী বনপাল রাসবরাজুকে। তাঁর সাফ কথা, এক বছর কেটে যাওয়া সত্ত্বেও বকেয়া বিল মেটানো হয়নি। বিলম্বের কারণে মূল বিলের সঙ্গে বার্ষিক ১৮ শতাংশ হাতে সুদ যুক্ত হবে। ফলে বাড়তি ১২.০৯ লক্ষ টাকা মেটাতে হবে। আগামী ১ জুনের মধ্যে বকেয়া মেটানো না হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।