পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
শান্তিনিকেতনের কঙ্কালীতলা সতীপীঠ ভক্তদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান। প্রতিদিনই এখানে দূরদূরান্ত থেকে প্রচুর ভক্ত আসেন। পুরান অনুযায়ী মা সতীর কাঁখ বা কাঁকাল পড়েছিল এই এলাকায়। সেই কারণেই নাম হয় কঙ্কালীতলা। মন্দিরের পাশেই রয়েছে পবিত্রকুণ্ড। জনশ্রুতি অনুযায়ী, কুণ্ডের মধ্যেই রয়েছে মা সতীর দেহাংশ। মন্দির সংলগ্ন কোপাই নদীর সঙ্গে যোগ রয়েছে কাশির মণিকর্ণিকা ঘাটের গঙ্গার। সে কারণেই কুণ্ডের জল কখনও শুকিয়ে যায় না।
প্রসঙ্গত, গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে কঙ্কালী মায়ের কাচের ফ্রেম ও প্রতিকৃতি হঠাৎ করেই এক পুরোহিতের গায়ের উপর ভেঙে পড়ে। যার ফলে গুরুতর জখম হন সেই পুরোহিত। তারপরই কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত ও কঙ্কালীমাতা ঠাকুরানি উন্নয়ন ট্রাস্টের তরফে মায়ের গর্ভগৃহে নতুন সিংহাসন বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেইমতো ট্রাস্টের আর্থিক সহযোগিতায় সেগুন কাঠ দিয়ে প্রায় এক লক্ষ টাকা ব্যয়ে নতুন সিংহাসন বসানো হয়। এছাড়াও কঙ্কালীতলাকে কেন্দ্র করে পর্যটন বৃদ্ধি করতে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে মন্দির চত্বর। কিছুদিন আগে বেনারস ও বাবুঘাটের আদলে কোপাই নদীর তীরে আরতি শুরু করা হয়েছে।
কঙ্কালীতলায় মায়ের কোনও মূর্তি নেই। এখানে মা পূজিত হন ছবির মধ্যে। তাই ভক্তরা ছবি স্পর্শ করতে পারতেন না। সেই কারণেই এবার কঙ্কালী মায়ের চরণ স্থাপন করা হল। এবার থেকে ভক্তরা মন্দিরে মায়ের চরণ স্পর্শ করে পুজো দিতে ও আশীর্বাদ নিতে পারবেন। এদিন এই বিশেষ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে ৪০টি হরিনামের দল, ২০টি ঢাকির দল ও প্রচুর সংখ্যক মহিলা শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি দেওয়ার জন্য উপস্থিত ছিলেন। দিনভর নানা অনুষ্ঠান দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রচুর মানুষ।
মন্দিরের সেবায়েত মহাদেব চৌধুরী, বাসুদেব চৌধুরী বলেন, এতদিন ভক্তরা দেবীকে স্পর্শ করার সুযোগ পেতেন না। দেবীর চরণ স্থাপন হল। প্রত্যেকে তা স্পর্শ করে পুজো দেওয়ার সুযোগ পাবেন। সহজেই ভক্তরা তাঁদের মনের বাসনা মায়ের কাছে জানাতে পারবেন।