পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
২০১৯ সালে ঘাটালে দেব জিতেছিলেন এক লক্ষ সাত হাজার ভোটে। তার মধ্যে ৯২ হাজার লিড ছিল কেশপুর থেকেই। বাকি ১৬ হাজার লিড দিয়েছিল অন্যান্য ছ’টি বিধানসভা এলাকা। সেই কারণে বিজেপির কাছেও পরিষ্কার, এই কেন্দ্রে তৃণমূলকে হারানোর স্বপ্ন সার্থক করতে গেলে তাদের কব্জায় আনতে হবে কেশপুর কেন্দ্রকে। ফলে কেশপুরকে নিয়ে দু’পক্ষই ইতিমধ্যে নিজ নিজ রণকৌশল সাজিয়ে রেখেছে। আর তৃণমূল-বিজেপির এই স্ট্রাটেজি ঘিরে উত্তাপ বাড়ছে এক সময়ের লালদুর্গ কেশপুরে।
ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, কেশপুরের গ্রামে গ্রামে চলছে নৈশ পাহারা। তবে তা কেন্দ্রীয় বাহিনীর নয়, তৃণমূল কর্মীদের। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর ভরসা রাখতে না পেরেই বহিরাগত দুষ্কৃতীদের কেশপুরে ঢোকা ঠেকাতেই গ্রামে গ্রামে রাত পাহারা দিচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। বুধবার রাত থেকে শুরু হয়েছে নৈশ নজরদারি। কিন্তু কেন এই নৈশ পাহারা? জানতে চাওয়া হলে, তৃণমূলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ রফিক জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড থেকে লোক নিয়ে এসে এখানে ভোটারদের ভয় দেখানোর চক্রান্ত করছে বিজেপি। সেই কারণেই সজাগ থাকতে হয়েছে। আমরা সিপিএমের অত্যাচারের কথা ভুলিনি। এখন সেই সিপিএমের হার্মাদরাই রং বদলে বিজেপির জল্লাদ হয়েছে। ফলে সেই অত্যাচারের কালো দিন আমরা আর কেশপুরে ফিরে আসতে দেব না। তিনি আরও বলেন, এবারও অন্যথা হবে না। কেশপুর থেকে লক্ষাধিক ভোটে লিড আমাদের নিশ্চিত।
অন্যদিকে, নিজেদের স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী বিজেপির কাজও এগচ্ছে বলে খবর। নির্বাচন চলাকালীন বিজেপির প্রার্থী নিজে অধিকাংশ সময় এই কেশপুরের বিভিন্ন বুথে ঘুরে বেড়াবেন বলেই জানিয়েছেন বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তন্ময় দাস। কিন্তু কেন? তাঁর ব্যাখ্যা, তৃণমূল বাকি ছ’টি কেন্দ্রে কিছু করতে না পেরে কেশপুরে ভোট লুট করে, আর ভোট জেতে। ঠিক এই কায়দায় সিপিএম ভোট লুট করত। এবার আমাদের টার্গেট তৃণমূলের এই প্ল্যান ভেস্তে দেওয়া। ফলে ঘাটালের হাই ভোল্টেজ ভোটে কেশপুরের দিকেই নজর থাকছে সকলের।