পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
বিরোধীরা প্রশ্ন তোলা সত্ত্বেও এই ১০ বছরে একটিও সাংবাদিক সম্মেলন করেননি মোদি। অভিযোগ, তাঁর টিভি সাক্ষাৎকারও সাজানো। চব্বিশের মহারণের মঞ্চে এই প্রসঙ্গই টেনে এনেছেন মমতা। ছুড়েছেন চ্যালেঞ্জ। প্রতিশ্রুতি বনাম পরিষেবার। বাংলার অগ্নিকন্যা চ্যালেঞ্জ করেছেন বিজেপির বিজ্ঞাপনী জুমলাকেও। বলেছেন, ‘প্রচার করলেই হবে না। মানুষের সামনে প্রমাণ করতে হবে।’ মোদিকে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা করব। সেই টাকা জনকল্যাণের কাজে ব্যবহার করব। আর আপনি যদি সত্যিই এত কাজ করে থাকেন, তাহলে ভয় কীসের? আপনার চোর, চিটিংবাজ, লুটেরাদের দল। ভয় আছে বলেই তো বিজ্ঞাপন দিতে হয়!’ স্লোগান তোলেন মমতা, ‘গলি গলি মে চোর হ্যায়’... সঙ্গে সঙ্গে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে উপচে পড়া ভিড়ের গর্জন, ‘বিজেপি চোর হ্যায়।’ জনতার অকুণ্ঠ সমর্থনের জোয়ারে ভেসেই আক্রমণের সুর সপ্তমে তোলেন মমতা। বলেন, ‘বিজেপি এবার ২০০ পার করবে না। ফলে খুব শীঘ্রই এক্স (প্রাক্তন) হয়ে যাবেন বর্তমানের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী। উনি বলেছেন, ঈশ্বরই ওঁর জন্মদাতা! তাহলে তো ওঁর জন্য মন্দির হওয়া উচিত। রোজ জল বাতাসা চড়ানো হবে।’
মানুষ বিজেপির উপর থেকে আস্থা হারিয়েছে। আর সেই কারণেই মোদি-শাহ ধর্মীয় মেরুকরণের তাস খেলছেন। বিভাজনের শেষ অস্ত্রে শান দিয়েই বাঁচার চেষ্টা করছেন বিজেপির হর্তাকর্তারা। এদিন কলকাতায় তাঁর প্রথম নির্বাচনী সভা থেকে বিজেপির এই সাম্প্রদায়িক চক্রান্তের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন মমতা। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, ‘দেশের মানুষকে ভাঁওতা দিচ্ছে বিজেপি। এই দিন শেষ হয়ে এসেছে।’ প্রত্যয়ী মমতার ঘোষণা, ‘মোদিবাবু, আপনার থেকে আমার দেশকে আমি কম চিনি না। আপনাদের একটা ব্লকের নেতা হওয়ারও যোগ্যতা নেই। মনে রাখবেন, আমি কেন্দ্রের একাধিক দপ্তরের মন্ত্রী হিসেবে কাজ করার পর মুখ্যমন্ত্রী হয়েছি। আর আপনি মুখ্যমন্ত্রী থেকে পার্টির জোরে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ধর্মের ভিত্তিতে দেশেকে ভাগ করার চক্রান্ত আমি ভেস্তে দেব।’
পাঁচ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হওয়ার নেপথ্যেও বিজেপির খেলা রয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। মমতা বলেন, ‘ওবিসি সার্টিফিকেট থাকবে। গরমের ছুটি শেষ হলেই সুপ্রিম কোর্টে যাব। আপনি প্ল্যান এ’তে খেলেছেন। আমারও প্ল্যান বি তৈরি।’