কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
রবীনবাবু বলেন, ১১ তারিখ উত্তরবঙ্গের কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের ভোট দিয়ে এবার রাজ্যে লোকসভা নির্বাচন শুরু হবে। অথচ ভোটের এক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত ওই দুই কেন্দ্রের ভোটারদের অভয় দিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি শুরু হয়নি। সবে দু’দিন ধরে সেখানে বাহিনী যেতে শুরু করেছে। অথচ ওই দুই কেন্দ্রে বিজেপি ও তৃণমূল যে ধরনের পরিবেশ তৈরি করেছে, তাতে সুষ্ঠু ভোট হওয়া নিয়ে মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আমরা এদিনও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কমিশনের কাছে তথ্য জানতে চেয়েছি। কিন্তু আদৌ শেষমেশ কত বাহিনী সেখানে যাবে, তা নিয়ে সঠিক কোনও তথ্য তারা দিতে পারেনি। আমাদের প্রশ্ন, এই যদি অবস্থা হয়, তাহলে কেন কমিশন গোড়া থেকে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল? বিশেষ করে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুটের যে নজির রাজ্যে তৈরি হয়েছিল, তারপরও কেন কমিশন এব্যাপারে এত উদাসীন মনোভাব দেখাচ্ছে? আমরা এই পরিস্থিতিতে কমিশন বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভরসায় না থেকে সাধারণ মানুষ তথা ভোটারদের নিজেদের অধিকার প্রয়োগের জন্য সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ভোট লুটেরাদের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সঙ্ঘবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলেই ভোটাররা তাঁদের অধিকার প্রয়োগ করুন—আমরা এটাই চাই।
এদিকে, কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসকদলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের ব্যাপারে তিনি এ পর্যন্ত প্রায় ৩০টি অভিযোগ করেছেন বলে এদিন জানান রবীনবাবু। কিন্তু তার মধ্যে ১৩টির জবাব কমিশন দিয়েছে। সেগুলি অধিকাংশই দায়সারা বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি বলেন, কলকাতার দুটি এবং যাদবপুর ও ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তহবিলের টাকা খরচের খতিয়ান দিয়ে কলকাতা পুরসভা পৃথক চারটি বই ছাপা হয়েছে। সেই বইয়ের মলাটে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ও তাঁর অনুপ্রেরণার কথাও ফলাও করে উল্লেখ করা হয়েছে। এই বই তৃণমূল কর্মীরা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোটারদের বাড়ি বাড়ি বিলি করছে। পুরসভার এই কাজ অনৈতিক এবং বেআইনি বলে আমরা কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি। কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান মন্ত্রকেও তা জানাব। মেয়র ফিরহাদ হাকিম অবশ্য বলেন, ছেঁদো অভিযোগ করার ব্যাপারে সিপিএমের জুড়ি নেই। এই চার কেন্দ্রের এমপি ল্যাডের টাকা খরচের নোডাল এজেন্সি কলকাতা পুরসভা। আমরা আমাদের কাজের খতিয়ান মানুষকে অবশ্যই জানাব। এটা মোটেও বিধিভঙ্গের আওতায় পড়ে না। আর তৃণমূল কর্মীরা তা কখনওই বাড়ি বাড়ি বিলি করছে না।