কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
টেলিকম সিকিউরিটির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার অজয় নয়ন সোমবার সাইবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বেশ কিছু টেলিকম সার্ভিসের উপভোক্তা তাঁদের দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। কী সেই অভিযোগ? উপভোক্তাদের অভিযোগ অনুযায়ী, কলকাতা, গুজরাত ও কেরল থেকে তাঁদের কাছে দেশীয় নম্বরে বেশ কিছু ফোন কল আসছে। ইনকামিং কলের নম্বরটি হল +৯১৩৩৩৫০৪২২০১। অর্থাৎ, ফোন নম্বরটিতে ভারতের কোড রয়েছে। কলিং লাইন আইডেন্টিটি (সিএলআই) অন্তত সেরকমই বলছে। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, +৯১৩৩৩৫০৪২২০১ সংশ্লিষ্ট নম্বরটির কোনও বৈধ টেলিমার্কেটার লাইসেন্স নেই। অভিযুক্তরা ইন্টারনেটের সাহায্যে একটি স্বনিয়ন্ত্রিত ‘গেটওয়ে’ তৈরি করেছে। তার মাধ্যমে প্রতারকরা যাবতীয় বিদেশি কল দেশের কোড-সহ একটি নম্বরে রূপান্তরিত করে ফোন করছে উপভোক্তাদের। তদন্তকারীদের অনুমান, এর সঙ্গে বেআইনি টেলিফোন এক্সচেঞ্জের যোগ থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ আইন, ১৮৮৫ অনুযায়ী, বিদেশি নম্বরকে দেশীয় নম্বরে রূপান্তরিত করা চূড়ান্ত বেআইনী কাজ। আইন ভেঙে এই কাজ চলতো সেক্টর ফাইভের ওই অফিসে। সেশন ইনিশিয়েশন প্রোটোকলের (এসআইপি) অপব্যবহার করায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯, ৪২০ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে সাইবার থানা। একই সঙ্গে, ঘটনাস্থল থেকে এই জালিয়াতি কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। একটি সনিয়ন্ত্রিত ইন্টারনেট সার্ভার, একটি ল্যাপটপ, আন্তর্জাতিক কলকে বেআইনিভাবে দেশীয় নম্বরে পরিবর্তন করার একটি সুইচ, চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড-সহ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেক তথ্য পাওয়া গিয়েছে।