কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
মহিলা পুলিসকর্মীদের সমস্যা শুনতে সপ্তাহ খানেক আগে বোর্ডের সদস্যরা বৈঠক ডাকেন। সেখানে বিভিন্ন জেলা থেকে মহিলা পুলিসকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বদলি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। সকলের বক্তব্য, যে-জেলায় বাড়ি সেখানে পোস্টিং হচ্ছে না। অভিযোগ, অনেক দূরের জেলাতেও তাঁদের পাঠানো হয়েছে। এর সঙ্গে আরও অন্য সমস্যা উঠে আসে।
সমাধানের রাস্তা বের করতে বোর্ডকর্তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেন। দেখা যায়, যদি প্রত্যেক মহিলা পুলিসকর্মীকে তাঁদের জেলায় বা বাড়ি থেকে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে পোস্টিং দিতে হয় তাহলে সমস্যা তৈরি হবে। কী সেই সমস্যা? ওয়েলফেয়ার বোর্ডের এক সদস্যের কথায়, এতে ভারসাম্য নষ্ট হবে। কোনও জেলায় বেশি মহিলা ফোর্স চলে যাবে। আবার কোনও জেলায় মহিলা পুলিসকর্মীর সংখ্যা থাকবে হাতেগোনা। যা দিয়ে মহিলা থানা, সাধারণ থানা চালানো, আইনশৃঙ্খলাজনিত ডিউটি করানো বা মহিলা অপরাধীকে এসকর্ট করার জন্য মহিলা বাহিনী পাওয়া যাবে না।
তাহলে সমাধান কী? সেখান থেকে মিউচুয়াল ট্রান্সফারের প্রসঙ্গ উঠে আসে। এতে একদিকে ভারসাম্য বজায় রাখা যাবে, অন্যদিকে মহিলা পুলিসকর্মীদের মধ্যে আস্থা ও ভরসা বাড়ানো যাবে। কীভাবে তা করা যাবে? বোর্ড সূত্রে খবর, যে-সমস্ত মহিলা পুলিসকর্মী নিজেদের জেলায় ফিরে যেতে চান তাঁরা আবেদন করবেন। এরপর তা স্ক্রুটিনি করা হবে। একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক আবেদনপত্র জমা পড়লে কাজ শুরু করা হবে। মহিলারা জেলা ইন্টারচেঞ্জ করে নেবেন। দেখা হবে কোনও বিশেষ জেলায় যেন বাড়তি ফোর্স চলে না-যায়। মিউচুয়াল ট্রান্সফারের পর সার্ভিস বুকও সেই জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যাতে চাকরি থেকে অবসরের সময় কোনও জটিলতা তৈরি না-হয়। মহিলা পুলিসকর্মীদের সমস্যার বিষয় যুক্ত থাকায় এই প্রস্তাবে নবান্নের সবুজ সঙ্কেত মিলবে বলেই আশাবাদী বোর্ডকর্তারা।