বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, পর্ণশ্রী থানা এলাকার গুলেপাড়ায় একটি অ্যাগ্রো ইন্ড্রাস্টি রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী তৈরি করা হয়। পাশাপাশি এখান থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি এসে তা পাইকারি দামে কিনেও নিয়ে যান। দিনের শেষে বিক্রি করে আসা টাকা সংস্থার বেহালা চৌরাস্তার সদর দপ্তরে জমা পড়ে। এই টাকা জমা দিতে যাওয়ার জন্য একজন কর্মী নির্দিষ্ট রয়েছেন। সংস্থার ওই কর্মী অন্যান্য দিনের মতোই শুক্রবারও টাকা নিয়ে জমা দিতে যাচ্ছিলেন সদর দপ্তরে। হেঁটে হেঁটেই যাচ্ছিলেন। পুলিসের কাছে অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, প্রতিদিন এভাবেই টাকা জমা দিতে যান। শুক্রবারই বেরিয়ে কিছুটা দূর যাওয়ার পর আচমকাই বন্দুক জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করা হয় তাঁর ঘাড়ে। তিনি পড়ে যান। সঙ্গে থাকা টাকার ব্যাগটিও তাঁর হাত থেকে ছিটকে পড়ে। এই সুযোগে দুষ্কৃতীরা তা লুট করে পালায়। তাঁর বক্তব্য, দুষ্কৃতীরা হেঁটেই পালায়। তিনি চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। স্থানীয়রা এলাকায় জড়ো হন। ঘটনার কথা জানালে পর্ণশ্রী থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিস এসে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে লুটের মামলা রুজুও করে।
এরপরই জেরা শুরু হয় ওই ব্যক্তিকে। তিনি প্রথমে বলেন, দুষ্কৃতীরা হেঁটে হেঁটে পালিয়েছে। পরে জানান, বাইকে চড়ে এসে টাকা লুট করে পালায়। তাঁর এই দু’ধরনের বয়ান ভাবাচ্ছে তদন্তকারী অফিসারদের। অভিযোগকারী পুলিসকে জানিয়েছেন, আসলে পড়ে যাওয়ার পর তাঁর মাথা ঠিকমতো কাজ করছিল না। তাই দুষ্কৃতীদের পালিয়ে যাওয়া নিয়ে দু’ধরনের কথা বলেছেন। যদিও তাঁর এই বক্তব্য পুরোপুরি বিশ্বাস করছেন না তদন্তকারী অফিসাররা। সেই কারণে তাঁর বয়ান খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করলে যে ধরনের আঘাত থাকে, তা যাচাই করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে তদন্তকারী অফিসারদের কাছে। পাশাপাশি ওই এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। কেউ ওই কর্মীকে পিছন থেকে আঘাত করেছে কি না, তা ফুটেজ দেখেই জানা সম্ভব। ফুটেজ ভালো করে বিশ্লেষণের মাধ্যমই অভিযুক্ত কে বা কারা, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে।