বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা ওই তরুণীর সঙ্গে ২০১৩ সালে এক যুবকের আলাপ হয়। পরে তাঁদের মধ্যে প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক তৈরি হয়। দু’জনেই ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন। সেই ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন ওই তরুণী। পরে ঘনিষ্ঠতার ছবি ওই তরুণী তাঁর প্রেমিককে দেন। ২০১৬ সালে তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। ওই তরুণীর অন্যত্র বিয়ে হয়। বিষয়টি জানার পর তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক বিহারের এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে তার মোবাইল থেকে ওই তরুণীকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠায়। জানায়, তাকে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। তা না হলে ওই সব অশ্লীল ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে। বেশ কয়েকবার অপরিচিত নম্বর থেকে এই মেসেজ পেয়ে ওই তরুণী ভয় পেয়ে যান। তিনি ওই নম্বরে যোগাযোগ করেন। বিহারের বাসিন্দা ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। তরুণী তিন লক্ষ টাকা দিতে রাজি হন। এর মাঝে তিনি লালবাজারে অভিযোগ জানান। গোয়েন্দারা পরামর্শ দেন, ওই যুবককে টাকার টোপ দিয়ে ডেকে পাঠান। সেইমতো তাকে আসতে বলা হয়। কলকাতায় আসামাত্রই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেরায় জানায়, সে লেখাপড়া জানে না। গুগল ট্রান্সলেটারের সাহায্যে সে হিন্দি মেসেজগুলিকে ইংরেজিতে রূপান্তর করত। এরপর তা পাঠাত ওই তরুণীর ফোনে। প্রাক্তন প্রেমিকই তরুণীর নম্বর ও তাঁর ছবি দেন। ওই যুবকের নির্দেশমতো সে গোটা কাজটি করছিল। এর বিনিময়ে তাকে কোনও টাকা পেয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে দু’জনের মধ্যে পরিচয় কীভাবে, তা নিয়ে খোঁজখবর চলছে। প্রাক্তন প্রেমিকের সম্পর্কেও তথ্য জোগাড়ের কাজ চলছে।