বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
এদিন সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, চারজন একসঙ্গে ঘুরবেন না। মাইকে প্রচার চালাচ্ছে কামারহাটি থানার পুলিস। তবু একাধিক জায়গায় জটলা দেখা গেল। বাড়ির দরজা থেকে উঁকি মারছে শিশু, কিশোররা। আতঙ্কে বাইরে বের হতে সকলেই ভয় পাচ্ছেন। কারণ শুক্রবার চোখের সামনে গুলি, বোমা চলতে দেখেছেন। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ১১টি বাইক, একটি দোকান। একাধিক বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি না থাকলেও, এলাকার পরিস্থিতি সেই রকমই।
এদিন সকালেই কামারহাটি ফাঁড়িতেই হাজির হন বারাকপুর পুলিস কমিশনার মনোজ বর্মা। তাঁরই নেতৃত্বে ম্যাকেঞ্জি, গ্রাহাম রোড, গলিঘাট এলাকায় চিরুনি তল্লাশি। অলিগতিতে ঢুকে পড়েন পুলিস কর্মীরা। ম্যাকেঞ্জি বাগানে বাড়ি ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার কালামউদ্দিন আনসারির। কাউন্সিলারের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালাতে গিয়ে মহিলাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিস। বিক্ষোভ থামান স্বয়ং কাউন্সিলার। মন্টি নামে এক দুষ্কৃতীকে পুলিস আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে গেলে এলাকায় হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। মহিলারা বাইরে বেরিয়ে এসে পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়।
গদিঘাট থেকে এক সন্দেহভাজন যুবককে পাকড়াও করে পুলিস। তাকে গ্রাহাম রোড ধরে ফাঁড়িতে নিয়ে আসছিলেন তিন পুলিস কর্মী। কিন্তু, তাকে নিয়ে বেশি দূর এগতে পারলেন পুলিস কর্মীরা। গ্রাহাম রোডে তিন পুলিস কর্মীকে ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা। যুবককে ছিনিয়ে নেয় তারা। বাধ্য হয়ে তিন পুলিস কর্মী খালি হাতে এলাকা ছাড়েন।
তবে, শনিবার সকাল থেকে নতুন করে অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। যদিও থমথমে এলাকায় যেকোনও সময় ফের উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কামারহাটির প্রাক্তন বিধায়ক তথা মন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, প্রশাসনের উচ্চ কর্তাদের নির্দেশে পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখন শান্তিপূর্ণ। কামারহাটির মানুষ শান্তি চায়। যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে পুলিস আইনি পদক্ষেপ নেবে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিসের তরফে একটি সুয়োমোটো কেস করা হয়েছে। আরও দুটি অভিযোগ হয়েছে। শুক্রবারের ঘটনায় একজন পুলিস কর্মী সহ মোট তিনজন জখম হয়েছেন। বারাকপুর পুলিস কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তল্লাশি চলছে সর্বত্র। কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিসের টহলদারি চলছে।