বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম বর্ণালী দাস (২২) ও শিশুটির নাম সায়নী দাস। মৃতার বাবা বাসুদেব বিশ্বাস মেয়ে ও নাতনির শোকে কার্যত পাথর হয়ে গিয়েছেন। তিনি কেবল বলেন, কী হয়ে গেল বুঝতেই পারছি না! এদিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছিলেন চুঁচুড়া পুরসভার কাউন্সিলার তথা চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সদস্য পার্থ সাহা। তিনি বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনছি তাতে ওই মহিলা আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই মনে হচ্ছে। তবে বিষয়টি পুলিস তদন্ত করে দেখবে। মা-মেয়ের এমন অকালমৃত্যু বাসিন্দাদের খুব আহত করেছে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’বছর আগে লোয়ার হেমন্ত বসু কলোনির বাসিন্দা সমর দাসের সঙ্গে রিষড়ার বামুনারির বাসিন্দা বর্ণালীর বিয়ে হয়েছিল। দুই পরিবারের মধ্যে দেখাশোনা করেই বিয়ে হয়। সমরবাবু কলকাতার বড়বাজারের একটি কাপড়ের দোকানের কর্মী। ওই দম্পতির মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা ছিল না বলেই পরিবার ও প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গিয়েছে। শুক্রবার রাতেও ওই দম্পতি একটি অনুষ্ঠান বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখান থেকে রাতে তাঁরা বাড়ি ফেরেন। তবে শনিবার সকালে ওই দম্পতির মধ্যে কিছু নিয়ে বচসা হয়েছিল। এরপর সমরবাবু দুপুরের আগেই তাঁর কর্মস্থলের উদ্দেশে বেরিয়ে যান। ওই গৃহবধূকে তারপর মেয়েকে স্নান করাতে দেখেছেন প্রতিবেশীরা। এরপর খাওয়াদাওয়া করে প্রতিদিনের মতো সাড়ে ১১টা নাগাদ বর্ণালী ঘরে ঢুকে যান।
প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুরে ঘুমিয়ে তিনটে নাগাদ ওই গৃহবধূ প্রতিদিন উঠে পড়তেন। কিন্তু এদিন তাঁকে দেখা যায়নি। এরপর বিকেল পর্যন্ত ওই গৃহবধূ বা তাঁর মেয়ের কান্নার আওয়াজ না পেয়ে স্থানীয়রা খোঁজখবর শুরু করে। তখন একদল বাসিন্দা ঘরের দরজা কাঠ দিয়ে ফাঁকা করে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পুলিস এসে দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। বাসিন্দাদের অনুমান, মেয়েকে শ্বাসরোধ করে মেরে তারপরেই ওই তরুণী গৃহবধূ আত্মঘাতী হয়েছেন। মিশুকে ওই গৃহবধূর মৃত্যুর শোক ছাপিয়ে তাঁর শিশুসন্তানের মৃত্যু এলাকায় তীব্র শোকের আবহ তৈরি করেছে।