বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
নৈহাটিতে একটি বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর ওই এলাকায় অবৈধভাবে চলা বাজির কারখানাগুলিতে অভিযান চালায় পুলিস। বাজেয়াপ্ত হয় বিপুল পরিমাণ বাজি ও রাসায়নিক। যার মধ্যে ছিল পটাসিয়াম ক্লোরাইড, অ্যালুমিনিয়াম ডাস্ট, চারকোল সহ বিভিন্ন সামগ্রী। কমিশনারেট সূত্রে খবর, নৈহাটিতে যেখানে বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছিল, সেখানে ছিল ৮০০ কেজি বিস্ফোরক এবং ১৫০০ কেজি বাজি। রিপোর্টে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বাজি ও বিস্ফোরক একসঙ্গে নিষ্ক্রিয় করতে গেলে লে-আউট ঠিকমতো করা জরুরি। তাতে সামান্য ফাঁক থাকলে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটার সম্ভাবনা থাকে। আর দুটি জিনিস একসঙ্গে যদি নিষ্ক্রিয় করতে হয়, তাহলে বেশি পরিমাণে রাখা উচিত না। পিরামিডের আকারে অতিরিক্ত মাত্রায় বিস্ফোরক এবং বাজি জমা করে নিষ্ক্রিয় করতে গেলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হবেই, তা আটকানো অসম্ভব। নৈহাটির ক্ষেত্রে সেই ঘটনাই ঘটেছে। ৮০০ কেজি বিস্ফোরক ও ১৫০০ কেজি বাজি এক জায়গায় রেখে তা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়েই ওই বিপত্তি। যে কারণে বিস্ফোরণের অভিঘাত ওই পর্যায়ে পৌঁছেছিল। গঙ্গার ওপারের বাড়ি বা ফ্ল্যাটে ফাটল ধরেছে। এমনকী চুঁচুড়াতেও বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠেন সেখানকার বাসিন্দারা।
এতবড় ঘটনা কীভাবে ঘটল, তা খুঁজে বের করতে কমিশনারেটের কর্তারা অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছেন। তাতে প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে, প্রথম দু’দিন এর চেয়েও বেশি বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৫০০ কেজির কাছাকাছি। সেদিন কোনও বড় ঘটনা ঘটেনি। তার কারণ, সেই বিস্ফোরকগুলি একই জায়গায় পিরামিডের আকারে ছিল না। আর সেদিনের লে-আউটও ঠিক ছিল। ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে নৈহাটি থানার আইসি, বম্ব ডিটেকশন ও ডিসপোজাল স্কোয়াডের ওসি এবং এক পুলিসকর্মীকে। তবে গাফিলতির বিষয়টি ইচ্ছাকৃত, নাকি অসাবধানতাবশত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।