বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস অপরাধীদের শরণার্থী শিবির নয়। দলের লোক হোক বা বাইরের লোক, আইন সবার জন্যে এক। আইন তার নিজের পথে চলুক। পুলিসের কাজে দল নাক গলাবে না। গত জুলাই মাস নাগাদ দেবরাজ পালের স্ত্রী বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। এনিয়ে বিজেপির অন্দরেই ক্ষোভ তৈরি হয়। বিজেপির ওবিসি মোর্চার নেতা সুরেশ সাউ বলেন, দেবরাজ পাল তৃণমূলেরই লোক ছিল এবং আছে। দীর্ঘদিন এলাকা ছাড়া থাকায় তাকে আইনের পথে এলাকায় ফেরানোর পথ প্রশস্ত করা হচ্ছে। অন্যদিকে জেলার পুলিস সুপার তথাগত বসু বলেন, প্রতারণা ও অস্ত্র আইনে দেবরাজ পালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র মিলেছে। আমরা তাঁকে আদালতে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে হেপাজতে চেয়েছি।
শেষ লোকসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত বাঁশবেড়িয়া-মগরার দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার নাম ছিল দেবরাজ পাল। জেলার এক দাপুটে মন্ত্রীর হাত তাঁর মাথায় থাকার সুযোগ নিয়ে এলাকায় কার্যত সমান্তরাল প্রশাসন তৈরি করে ফেলেছিলেন ওই নেতা। ত্রিবেণীর কালীতলার বাসিন্দা সামান্য এক বাহুবলি থেকে তিনি হয়ে উঠেছিলেন এলাকার দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। সেই সুবাদে জমিজায়গা দখল থেকে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত সহ অর্থ রোজগারের বিরাট অবৈধ কারবার খুলে বসেছিলেন বলে অভিযোগ। গড়ে তুলেছিল প্রাসাদোপম বাড়ি, বিরাট গাড়ির গ্যারাজ ভর্তি গাড়ির সম্ভার।
লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হারের পরেই পরিস্থিতি বদলে যায়। কিছুটা রাজনৈতিক ও কিছুটা অত্যাচারিত মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভের জেরে এলাকা ছাড়া হয়ে যেতে হয় দেবরাজ পালকে। ততদিনে দাপুটে মন্ত্রীর হাতও তাঁর মাথা থেকে সরে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একাধিকবার তাঁর বাড়ি ও গ্যারাজে হামলা হয়। লুটপাট চালায় ক্ষুব্ধ জনতা। ওই সময়ে জমিসম্পত্তি দখলের একাধিক অভিযোগও হয় তাঁর নামে। এরই মধ্যে গত জুলাইতে তাঁর স্ত্রী বিজেপিতে যোগ দেন। তা নিয়ে একদফা হামলা হয়।
তখন থেকেই এলাকায় দেবরাজ পালের আর কোনও খোঁজই মেলেনি। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নানান অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই বিতর্কিত নেতাকে খোঁজা হচ্ছিল। শুক্রবার রাতে তিনি ত্রিবেণীর বাড়িতে ফিরতেই ভোররাতে মগরা থানার পুলিস অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়েছে বলেই পুলিসের দাবি।