বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
হুগলি জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী বলেন, জেলায় জারবেরা চাষের জন্য চাষিদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে। যদিও গত বছর সিংহভাগ চাষই হয়েছে হরিপালে। আগে একটা সময় ছিল, যখন ভর্তুকি দেওয়ার কথা বলা হলেও তেমন কেউ এই প্রকল্পে এগিয়ে আসত না। এখন সেখানে আমরা গত এক বছরে নতুন করে ১২টি প্রকল্প করেছি। প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওই প্রকল্প হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, মহিলাদের মধ্যে এই চাষে উৎসাহ তৈরি হয়েছে। হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান বলেন, জারবেরা ফুলের বিশাল বাজার রয়েছে। বিশেষ করে ঘর সাজাতে এই ফুলের চাহিদা প্রবল। সেই বিষয়টি কৃষকদের বহুদিন ধরেই বোঝাচ্ছেন উদ্যানপালন দপ্তরের কর্তারা। তারই ফল আমরা শেষ বছরে পেয়েছি। আট হাজার শতক জমিতে নতুন প্রকল্প হওয়ায় এটাই প্রমাণ করে যে, এই চাষে কৃষকদের উৎসাহ বেড়েছে।
জেলা পরিষদ ও জেলা উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই জেলায় জারবেরা চাষ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে উৎসাহ দেখা যাচ্ছিল। একক প্রকল্পের পাশাপাশি পলিহাউসগুলিতেও জারবেরার মতো অলঙ্কারিক ফুলচাষ হচ্ছিল। কার্যত সেই ধারাতেই ২০১৯ সালে ১২টি একক জারবেরা প্রকল্প হয়েছে। যদিও সবগুলি প্রকল্পই হয়েছে হরিপাল ব্লকে। এর মধ্যে চারটি প্রকল্প হয়েছে এক হাজার শতক জমিতে। বাকি আটটি প্রকল্প হয়েছে পাঁচশো শতক জমিতে। হরিপালের প্রতিমা ধাড়া ও কৈকালার কল্পনা মুখোপাধ্যায় নামে দুই মহিলা ৫০০ শতক জমিতে জারবেরা চাষ করেছেন। পুরুষদের সঙ্গে মহিলাদের এই আগ্রহ জেলা উদ্যানপালন কর্তাদের উৎসাহ বাড়িয়েছে। তাঁদের দাবি, ছোট আকারে জারবেরা চাষ করেও লাভের মুখ দেখা যায়। মহিলাদের অংশগ্রহণ জারবেরা চাষকে আরও প্রসারিত করবে। এরসঙ্গে মোট খরচের অর্ধেক ভর্তুকি, ছোট জমিকে চাষযোগ্য করে তোলা এবং সরল চাষ পদ্ধতির সুবিধাও এই প্রকল্পকে জনপ্রিয় করেছে।