গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
ব্রেসলেটের সন্ধান পেতে মলের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। কোন কোন দোকানে ওই মহিলা ঢুকেছিলেন, জোগাড় করা হয় সেই তথ্য। বিভিন্ন সূত্র মারফত অফিসাররা নিশ্চিত হন, মলেই খোয়া গিয়েছে ওই ব্রেসলেট এবং কেউ কুড়িয়ে নিয়ে গিয়েছেন। মল কর্তৃপক্ষের কাছে সিসিটিভি’র ফুটেজ চেয়ে পাঠায় পুলিস। ফুটেজ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা যায়, এক মহিলা ওই ব্রেসলেটটি কুড়োচ্ছেন। তাঁকে শনাক্ত করা হয়। জানা যায়, ওই মহিলা দক্ষিণ পূর্ব রেলের কর্মী। মোবাইল নম্বর জোগাড় করে তাঁর কাছে পৌঁছে যান থানার অফিসাররা। তিনি তাঁদের জানান, ওই ব্রেসলেট তিনি কুড়িয়ে পেয়েছেন। তা নেওয়ার পর তাঁর মনে হয়েছে, অন্যের জিনিস নেওয়া উচিত নয়। তাই মলের মধ্যেই তা ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন।
এরপর আবার ফুটেজ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়। বারবার দেখা হয় মলের সমস্ত জায়গার ছবি। তা করতে করতে অফিসারদের নজরে আসে, এক ব্যক্তি কিছু একটা কুড়োচ্ছেন। প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে দেখা যায়, সেটি সোনার ব্রেসলেট। ওই ব্যক্তি মলের কোন কোন দোকানে গিয়েছিলেন, তার খোঁজ শুরু হয়। জানা যায়, তিনি একটি দোকানে ঢুকে কেনাকাটা করেছেন। কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করেছেন এবং নিজের মোবাইল নম্বরও দিয়েছেন। এরপরই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিস। জানা যায়, তিনি পেশায় ব্যাঙ্ক কর্মচারী। ব্রেসলেটটি তাঁর কাছে থাকার কথা স্বীকার করে নেন তিনি। পুলিসকে তিনি জানান, এটি কার, তা তিনি বুঝে উঠতে পারছিলেন না। ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কেউই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। ফুলবাগান থানার অফিসাররা তাঁকে বলেন, ওই ব্রেসলেট থানায় জমা দিয়ে যেতে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি থানায় এসে তা জমা দিয়ে যান।