যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
করণাময়ীতে একটি বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে থাকতেন মা অপুদেবী। বেশ কিছুদিন হল তাঁর স্বামী মারা গিয়েছেন। পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, ছেলে চন্দন খুব বেশিদূর লেখাপড়া শেখেনি। ফটোগ্রাফির প্রতি তার আগ্রহ ছিল। কিন্তু কোনও প্রশিক্ষণ নেয়নি ফটো তোলার। তা শিখবে বলে মায়ের কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা চায় সে। কিন্তু ছেলেকে ফটোগ্রাফি কোর্সে ভর্তি করাতে রাজি ছিলেন না মা। আসলে চন্দন প্রথম থেকেই মানসিক দিক থেকে সুস্থ ছিল না। পাগলদের মতো আচরণ করত। অনেক দিন চিকিৎসাও হয় তার। কিন্তু পুরোপুরি সেরে ওঠেনি। কিছুদিন হল অভিযুক্ত যুবক এক ফটোগ্রাফি সংস্থার অফিসে কাজ পায়। কিন্তু তেমনভাবে কাজ শিখে উঠতে পারেনি। যে কারণে সেখান থেকে তার চাকরি যায়। পরে মুদিখানার দোকানও করে। কিন্তু তাও ভালো করে চালাতে পারছিল না। এই নিয়ে মায়ের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। কথায় কথায় মা তাকে বলে বসেন, পাগলকে কেউ কাজ শেখাবে না। কেউ তাকে কাজেও রাখবে না। মায়ের মুখ থেকে এই কথা শোনার পরই রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ওই যুবক। কেন তাকে পাগল বলা হল, তা নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে। এরপরেও আরও বেশ কয়েকবার মা তাকে পাগল বলায় ক্ষোভ ক্রমশ বাড়তে থাকে।
স্থানীয়রা পুলিসকে জানিয়েছেন, মা ও ছেলের মধ্যে নিত্য অশান্তি লেগে থাকত। এমনকী ওই ছেলের বিরুদ্ধে এর আগেও মাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার ঘরে একাই ছিলেন অপুদেবী। এই সময় রান্নাঘর থেকে ছুরি নিয়ে এসে মায়ের বুকের উপর বসিয়ে দেয় অভিযুক্ত যুবক। মা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়নি। এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে সে। অপুদেবী বুক, পেট সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পান। ক্রমাগত রক্তক্ষরণের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়। কিছুক্ষণ পরে ছেলে নিজেই থানায় এসে জানায়, মাকে সে খুন করেছে। তার কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গেই অফিসাররা ঘটনাস্থলে যান। দেখা যায়, মাটিতে পড়ে রয়েছেন অপুদেবী। চারিদিক রক্তে ভেসে যাচ্ছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। একাধিক আঘাতের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত ছেলে চন্দনকে গ্রেপ্তার করেছে হরিদেবপুর থানায় পুলিস।