বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
দপ্তরের বন সম্প্রসারণ বিভাগের প্ল্যানিং রেঞ্জের আধিকারিক নূর ইসলাম বলেন, বনদপ্তর এই জেলায় প্রথম এতবড় এলাকাজুড়ে ফলের বাগান তৈরি করছে। প্রায় ১০ হেক্টর জায়গায় ১৬ হাজার ফলের গাছ লাগানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বেড়া দেওয়া ও গাছ বসানোর জন্য গর্ত করার কাজ শেষ হয়েছে। গাছ লাগানো শুরু হয়েছে। পেয়ারা, আম, জাম, কাঁঠাল, বেদানা, আমলকি, বহেড়া, হরিতকী, কুল, আমড়া প্রভৃতি গাছ লাগানো হচ্ছে। বনদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ১১ ব্যাটালিয়নের জায়গা ফাঁকা পড়েছিল। তাই পুলিসের সঙ্গে কথা বলে ওই জায়গায় ফলের বাগান তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় বনদপ্তর। এতে ব্যাটালিয়নের পুলিসকর্মীরা ছাড়াও এলাকার সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। জানা গিয়েছে, এমনভাবে গাছ নির্বাচন করে লাগানো হচ্ছে, যাতে সারাবছর ওই বাগান থেকে ফল পাওয়া যায়। করোনা পরিস্থিতিতে ওই বাগান তৈরিতে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে ছররা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১৯৩ জন পরিযায়ী শ্রমিক ইতিমধ্যে কাজ করেছেন। মোট ১৮০০ শ্রমদিবস তৈরি হয়েছে। তিন বছর পর ওই বাগান থেকে ফল পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। পরিকল্পনামতো প্রথম ধাপে জেলার ১০টি গ্রামে গাছগুলি লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে সেই কাজ শেষ হয়েছে পাড়া থানার আনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আমলাতোড়া গ্রামে। ইতিমধ্যে ওই গ্রামে রাস্তার দু’পাশে মোট ১৬০টি আমলকি গাছ লাগানো হয়েছে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পরিযায়ী শ্রমিকরা ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ওই গাছ লাগানোর কাজ করেছেন। গ্রামবাসীরা গাছগুলি দেখাশোনা করবেন। তবে বনদপ্তর নজরদারি চালাবে বলে জানিয়েছেন দপ্তরের আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, গাছের নামে পুরুলিয়া জেলায় বেশ কিছু গ্রাম রয়েছে। গাছের নামে গ্রাম হলেও বর্তমানে ওই এলাকায় আর সেই গাছের দেখা মেলে না। তাই গ্রামগুলির প্রাচীন ঐতিহ্য ফিরিয়ে দিতে বনদপ্তর ঠিক করেছে, যে গাছের নামে যে গ্রাম, সেখানে সেই গাছ লাগানো হবে। নিজস্ব চিত্র