অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
মেট্রো সূত্রের খবর, শহরের লাইফ লাইনের পরিকাঠামোয় এটিএমগুলি রয়েছে মাটির উপরে স্টেশনগুলিতে প্রবেশপথের আশপাশে। কেবল মেট্রোর যাত্রীই নন, অন্যরাও সেইসব এটিএম ব্যবহার করে থাকেন। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এটিএম করতে দিয়ে কত আয় হতো? মেট্রো সূত্রে খবর, ২০১৬-’১৭ আর্থিক বছরে মেট্রোয় মোট এটিএমের সংখ্যা ছিল ২১টি। তা থেকে ওই আর্থিক বছরে মেট্রোর আয় হয়েছিল ২.০৪ কোটি টাকা। পরের আর্থিক বছরে এটিএমের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১৫ থেকে ১৬টিতে। ওই বছরে এটিএমের জন্য মেট্রোর আয় হয়েছিল ১.৫১ কোটি টাকা। ২০১৮-’১৯ আর্থিক বছরে এই খাতে আয় কমে দাঁড়ায় ৮৭ লক্ষ টাকায়। বর্তমানে এটিএমের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১০টিতে। পরিচিত জায়গায় এটিএম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যেমন সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ, তেমনই ভাড়া বহির্ভূত খাতে মোটের উপর আয় বাড়লেও, এটিএম বন্ধের জেরে কিছুটা হলেও কমেছে আয়।
মেট্রোর এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, প্রথমত, পাতালপথে ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা হওয়ায় আগামী দিনে আর্থিক স্বাস্থ্যের হাল কিছুটা হলেও ফিরবে। দ্বিতীয়ত, তার সঙ্গে ভাড়া বহির্ভূত খাতে আয়ও ক্রমেই বাড়ছে। আগামী দিনেও সেই চেষ্টা জারি থাকবে। কিন্তু, যেহেতু গত কয়েক বছরে মেট্রোয় নতুন করে পরিকাঠামো উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়েনি, তাই কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েই গিয়েছিল। আগামী দিনে নতুন রুটগুলি চালু হতে শুরু করলে নতুন করে আয়ের সুযোগ তৈরি হবে। তৃতীয়ত, মেট্রো স্টেশনের ভিতরে খাবারের স্টলে আগুন জ্বেলে রান্না করা যায় না। তাতে খাবারের স্টল তৈরির ক্ষেত্রে একটা প্রতিবন্ধকতা থেকেই যাচ্ছে। তাই স্টেশনের বাইরে মেট্রোর পড়ে থাকা জায়গাকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা যায় কি না, তা দেখা হচ্ছে। স্টেশনের বাইরে স্টল, কিয়স্ক তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডাকা হয়েছে। মেট্রোর পরিকাঠামোর অবস্থানগত গুরুত্ব বিচার করে আশা করছি এই পরিকল্পনায় অনেকে অংশ নেবেন।