শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
দীর্ঘদিন ধরেই ভারতে মানি ওয়ালেটের বাজারের প্রায় সিংহভাগ নিজেদের পকেটে পুড়ে নিয়েছে পেটিএম। ফলে সেই জায়গায় থাবা বসাতে প্রথমে বেশ সমস্যাতেই পড়তে হয় গুগল পে-কে। বিভিন্ন অফার, মানিব্যাকের লোভ দেখিয়েও খুব একটা কাজ হয়নি। আর তাই দীপাবলির মরশুমে ‘ট্রাম্প কার্ড’ খেলেছে গুগল পে। এক্কেবারে লক্ষ্মীলাভের অফার। তবে তার জন্য বিরাট কাঠ-খড় পোড়াতে হবে না সংস্থার গ্রাহকদের। শুধুমাত্র টাকার লেনদেন করলেই মিলবে একটি বিশেষ স্ট্যাম্প। এই ধরনের মোট পাঁচটি স্ট্যাম্প রয়েছে। সেগুলি হল— ঝুমকা, ফ্লাওয়ার, দিয়া, ল্যান্টার্ন এবং রঙ্গোলি।
শর্ত হল, আপনার গুগল পে অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য কারও গুগল পে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠালেই মিলবে এই স্ট্যাম্প। কিন্তু, লেনদেনের অ্যামাউন্ট হতে হবে ৩৫ টাকার বেশি। এছাড়া দীপাবলির প্রজ্জ্বলিত প্রদীপ, মোমবাতি ইত্যাদি স্ক্যান করলেও মিলছে এই পাঁচটির স্ট্যাম্পের কোনও একটি। কেউ কেউ আবার বন্ধু-বান্ধবদের এই স্ট্যাম্প পাঠানোর জন্য অনুরোধ করছেন। যদি শিকে ছেঁড়ে।
কিন্তু ভাগ্য-দেবতা বিরূপ। সবার কাছে ঝুমকা, ফ্লাওয়ার, দিয়া, ল্যান্টার্ন স্ট্যাম্পগুলি থাকলেও বাজারে রঙ্গোলির দেখা মেলেনি। স্ক্যান এবং টাকার লেনদেন করার ফলে শুধুমাত্র কাঁড়িকাঁড়ি দিয়া এবং ল্যান্টার্নই পাওয়া গিয়েছে। এরমধ্যে আবার যাঁরা একই স্ট্যাম্প একাধিক পেয়েছেন, তাঁরা সেই স্ট্যাম্প বন্ধু-বান্ধব-আত্মীয়দের গিফ্ট করেছেন। কারণ, কাউকে স্ট্যাম্প দান করলে ওই গ্রাহক পাবেন আর একটি স্ট্যাম্প। তাতে যদি মেলে রঙ্গোলির দেখা! তাই পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, কারও সঙ্গে দেখা হলেই সে আপনাকে স্ট্যাম্প পাঠাতে চাইছে।
ঝুমকা, ফ্লাওয়ার, দিয়া, ল্যান্টার্ন এবং রঙ্গোলি— এই পাঁচটি স্ট্যাম্প পেলেই কেল্লা ফতে। হাতে, থুড়ি লিঙ্ক করা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মিলবে নগদ ২৫১ টাকা। পাশাপাশি, পাঁচটি স্ট্যাম্প সংগ্রহ করা সফল ব্যক্তি একটি লাকি ড্র-তে অংশগ্রহণও করতে পারবেন। সেখানেও জেতার সুযোগ রয়েছে এক লক্ষ টাকা। সেকারণেই কোমর বেঁধে স্ট্যাম্প কালেক্ট করতে নেমে পড়েছেন নেটিজেনরা। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী সকলেই গুগল পে-র স্ট্যাম্প কালেক্ট করতে ব্যস্ত। দেশের মধ্যে বাদ শুধুমাত্র তামিলনাড়ু। সংস্থার শর্ত অনুযায়ী এই রাজ্যের গুগল পে গ্রাহকরা এই খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
প্রথমে এই খেলার মেয়াদ ছিল ১ নভেম্বর পর্যন্ত। পরে তা বাড়িয়ে ৫ তারিখ করা হয়। এরপরও গ্রাহকদের মাত্রাতিরিক্ত আগ্রহ ও নিজেদের মুনাফার স্বার্থে সেই ‘টাকার খেলা’র সময়সীমা বাড়িয়ে ১১ নভেম্বর করে গুগল পে। কিন্তু বিজয়ীর সংখ্যা আপাতত হাতেগোনাই। সব স্ট্যাম্পের দেখা মিললেও মুখ ফিরিয়েছে ‘রঙ্গোলি’। তাতেও অবশ্য দমে যাননি নেটিজেনরা। সবরকম ফন্দি-ফিকির করে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পাঁচটি স্ট্যাম্প জোগাড়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। তবুও অধরাই লক্ষ্মীলাভ। স্ক্যান, রিকোয়েস্ট সবেতেই হতাশ বহু গ্রাহক। অগত্যা রঙ্গোলি চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্যের আবেদন করেছেন তাঁরা। যা নেট দুনিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল।