পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
প্রশ্ন: জকোভিচ সম্প্রতি বলেছেন, ৩৫ ইজ দ্য নিউ ২৫? এই ব্যাপারে আপনি কী বলবেন?
শ্রীজেশ: সহমত পোষণ করছি। স্পোর্টসে অভিজ্ঞতাকে উপেক্ষা করতে পারবেন না। আর ওলিম্পিকসের মতো বড় টুর্নামেন্টে চাপ আসবেই। তা সামলাতে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। গোলরক্ষক হলে তো আর কথাই নেই।
প্রশ্ন: প্যারিস ওলিম্পিকসের প্রস্তুতি কেমন চলছে?
শ্রীজেশ: টোকিওর পরই প্যারিসের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল, মেগা আসরে কোয়ালিফাই করা। এশিয়ান গেমসে সোনা জেতার সুবাদে টিকিট পাওয়ার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। এখন প্রো লিগ বা অন্য সব ম্যাচ খেলছি। কী ভুল হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পেনাল্টি কর্নার নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বৈচিত্র্যের প্রয়োজন। ঠিক তেমনি তা রোখার জন্য দরকার নিশ্ছিদ্র রক্ষণ।
প্রশ্ন: টোকিও ওলিম্পিকসের পদক কতটা উদ্বুদ্ধ করছে?
শ্রীজেশ: হকিতে আগে ভারত ভালো ছিল। এটাই শুনে এসেছি। কিন্তু এখন আমরা ওলিম্পিকস পদক দেখাতে পারব। টোকিওতে সাফল্য মানুষের প্রত্যাশা আরও বাড়িয়েছে। নতুন প্রজন্ম এই খেলাকে আরও বেশি ভালোবাসছে।
প্রশ্ন: গত ওলিম্পিকস এশিয়ান কন্ডিশনে হয়েছিল। কিন্তু এবার আসর বসছে ইউরোপে। প্যারিসের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা কতটা চ্যালেঞ্জিং?
শ্রীজেশ: যেখানেই খেলি, হকিই তো খেলব। এতে সমস্যার কিছু নেই। তাছাড়া প্যারিসের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার যথেষ্ট সময় পাওয়া যাবে।
প্রশ্ন: কোচ ক্রেগ ফুলটন সম্পর্কে বলুন। তাঁর আমলে টিমে কী পরিবর্তন এসেছে?
শ্রীজেশ: প্রত্যেক কোচের দর্শনই ভিন্ন। অস্ট্রেলিয়ানরা অ্যাটাকিং গেম পছন্দ করে। তুমি ১০ গোল খাও, কিন্তু ১১টা দাও। কিন্তু ফুলটনের নীতি হচ্ছে, ‘ডিফেন্ড টু উইন’। কোচ বলেন, জমাট রক্ষণ টুর্নামেন্ট জেতায়। একটি গোল দাও, আর তা ধরে রাখো। ফুলটন আসায় আমাদের রক্ষণ বিন্যাস আগের চেয়ে ভালো হয়েছে।
প্রশ্ন: ৩৬ বছর বয়সে প্যারিস ওলিম্পিকস আপনার কাছে কতটা স্মরণীয় হয়ে উঠতে পারে?
শ্রীজেশ: একজন শিশু যদি ওলিম্পিকস খেলে, সেও বলবে সোনা জিততে চাই। আমিও ব্যতিক্রম নই। ৩৬ বছর বয়সেও দারুণ ফিট। গত ২০ বছরে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সেরাটা উজাড় করে দেওয়াই লক্ষ্য থাকবে।