পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
আইপিএল ফাইনাল মানেই নার্ভের অগ্নিপরীক্ষা। প্রবল টেনশনের মুহূর্তে সেরাটা মেলে ধরতে পারাই ফারাক গড়া দেবে জেতা-হারার। তবে খাতায় কলমে কলকাতা অবধারিতভাবেই ফেভারিট। এবারের আসরে দু’বারই হায়দরাবাদকে হারিয়েছে তারা। তার উপর চেন্নাইয়ে ফাইনাল খেলার সুখস্মৃতিও সঙ্গী মেন্টর গৌতম গম্ভীরের। এক যুগ আগে এই মাঠেই প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কেকেআর। সোনালি-বেগুনি পতাকার ওড়াওড়ির সঙ্গে ধ্বনিত হয়েছিল সেই সুর— ‘করব লড়ব জিতব রে’। এবার জিতলে কোচ ও মেন্টর হিসেবে ট্রফি জয়ের কীর্তি গড়বেন তিনি।
শাহরুখ খান, জুহি চাওলারা অবশ্যই সেই আশায় উপস্থিত থাকবেন ভিআইপি বক্সে। আর যে দলে ম্যাচ উইনারের এত ছড়াছড়ি, যারা এক নম্বরে থেকে শেষ করেছে লিগ, শেষ ছয় ম্যাচের মধ্যে জিতেছে পাঁচটিতেই, তাদের সমর্থকরা তৃতীয়বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখতেই পারেন। সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেলের মতো অলরাউন্ডার এই দলের সম্পদ। নারিন শুধু ওপেনিংয়েই ঝড় তুলছেন না, মাঝের ওভারগুলোয় আটকে রাখছেন বিপক্ষ ব্যাটারকেও। তিনিই নাইটদের সাফল্যের ব্রহ্মাস্ত্র হয়ে উঠতে পারেন। রাসেলও এবার অনেক ফিট। চোটের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ঝাঁপাচ্ছেন ফিল্ডিংয়েও। বিধ্বংসী মেজাজে বেঙ্কটেশ আয়ার। ফর্মে ফিরেছেন অধিনায়ক শ্রেয়সও। মিডল অর্ডারে নীতীশ রানার সঙ্গে ফিনিশার রিঙ্কু সিং ও রমনদীপ সিং। বোলিংয়ে মিচেল স্টার্কের ছন্দে ফেরা স্বস্তি দিচ্ছে।
চিপকের বাইশ গজ মানেই স্পিনারদের স্বর্গরাজ্য। নারিনের সঙ্গে বরুণ চক্রবর্তীর জুটি তাই দুর্বোধ্য ধাঁধা হয়ে উঠতেই পারে। খেলতে পারেন বাঁ হাতি স্পিনার অনুকূল রায়ও। তবে হেনরিখ ক্লাসেনরা আবার স্পিনকে সীমানার বাইরে ফেলতেই অভ্যস্ত। অবশ্য, রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে শুক্রবার স্পিন অস্ত্রেই বাজিমাত করেছে হায়দরাবাদ। বাংলার শাহবাজ আহমেদ, অনভিজ্ঞ অভিষেক শর্মারা টেক্কা দিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহালদের। প্রয়োজনে হাত ঘোরাবেন আইডেন মার্করামও। তবে কামিন্সদের আক্রমণ পেস-নির্ভর। ভুবনেশ্বর কুমার, নটরাজনরা রীতিমতো ধারাবাহিক। স্বয়ং কামিন্সও ফর্মে। রহমানউল্লা গুরবাজ ও নারিন, কেকেআরের ওপেনিং জুটির সামনেও তাই কঠিন চ্যালেঞ্জ।
মঙ্গলবার ‘হা রে রে রে’ করে মারতে গিয়ে পাওয়ার প্লে’র মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়েছিল সানরাইজার্স। শিক্ষা নিয়ে ফাইনালে ট্রাভিস-অভিষেক জুটি শুরুতে সামান্য সতর্ক থাকতেই পারে। দুই বিদেশি মার্করাম ও ক্লাসেন, প্রাক্তন নাইট রাহুল ত্রিপাঠি, তরুণ তুর্কি নীতীশ রেড্ডি, অলরাউন্ডার শাহবাজরা আক্রমণের পতাকা উড়িয়েছেন। সানরাইজার্স প্রথমে ব্যাট করতে ভালোবাসে। কলকাতা আবার রান তাড়ায় ওস্তাদ। রাতের দিকে শিশির পড়লে অবশ্য স্পিনারদের কাজ কঠিন হবে। শনিবার বৃষ্টিতে প্র্যাকটিস ভেস্তে যাওয়া অবশ্য কম ওভারের ম্যাচের সমীকরণও আনছে। তবে সূর্যোদয় নাকি সূর্যাস্ত, পার্থক্য গড়ে দেবে প্রবল চাপের মধ্যে অনড় থাকার মানসিকতাই!