বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
ওপেনিং জুটি সেট না হওয়া: প্রথম কয়েকটি ম্যাচে কেকেআরের ইনিংসের সূচনা করেছিলেন শুভমান গিল ও সুনীল নারিন। এই জুটি ক্লিক করেনি। বাধ্য হয়ে বিকল্প পথ খুঁজে নিতে হয় টিম ম্যানেজমেন্টকে। পরে গিলের সঙ্গী হন রাহুল ত্রিপাঠি। প্রথম ম্যাচে ভালো খেললেও তা ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ফলে ফের ওপেনিং জুটিতে রদবদল। এখন গিলের পার্টনার নীতীশ রানা। এই জুটিকে লেটার মার্কস দেওয়া না গেলেও আস্থা অর্জনে সফল। তবে ভুল শুধরে নিতে অনেক দেরি করে ফেলেছে নাইটরা।
বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ শুভমান: শুরুটা ভালো করলেও ইনিংসকে দীর্ঘায়িত করতে পারছেন না শুভমান গিল। এবারের আইপিএলে এখনও অবধি ১৩টি ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ৪০৪ রান। হাঁকিয়েছে তিনটি হাফ-সেঞ্চুরিও। তবে তিনি সতর্ক হলে সংখ্যাটা বাড়তে পারত। শুভমান পাঁচবার আউট হয়েছেন (২৮, ৩৪, ২১, ৩৬,২৬) স্রোতের বিপরীতে হেঁটে। এর জন্য ভুগতে হয়েছে দলকেও।
আন্দ্রে রাসেলের অফ ফর্ম এবং চোট: গত বছর কেকেআর শিবিরে আলো ছড়িয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু এবার একেবারেই ছন্দে পাওয়া গেল না তাঁকে। তার উপর চোট যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া। ৯টি ম্যাচ খেলে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারটি করেছেন মাত্র ৯২ রান। পেয়েছেন মাত্র ৬টি উইকেট। আদৌ তিনি এবারের আইপিএলে আর মাঠে নামতে পারবেন কিনা সেটা বলা কঠিন। অতিরিক্ত রাসেল নির্ভরতা নাইটদের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ।
নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি প্যাট কামিন্স: ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্যাট কামিন্সকে দলে নিয়েছিল কেকেআর। নিলামে তাঁর পিছনে সাড়ে পনেরো কোটি খরচ করতেও দ্বিধা করেননি কিং খানরা। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ তিনি। ১৩টি ম্যাচে পেয়েছেন মাত্র ৯টি উইকেট। যেখানে কাগিসো রাবাডা, জোফ্রা আর্চার, যশপ্রীত বুমরাহরা গতি ও বাউন্সের ঝলকানিতে দলকে জেতাচ্ছেন, সেখানে কামিন্স অতি সাধারণ।
দলের বোঝা দীনেশ কার্তিক: টুর্নামেন্টের মাঝপথে নেতৃত্ব বদলেও পারফরম্যান্সের গ্রাফ ওঠেনি নাইটদের। দীনেশ কার্তিকের পরিবর্তে ইয়ন মরগ্যানকে ক্যাপ্টেন করে ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে চেয়েছিলেন শাহরুখ-জুহিরা। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ১৩টি ম্যাচ খেলে কার্তিকের ঝুলিতে ১৬৯ রান। গড় ১৫.৩৯। শুধু ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব থেকে নয়, প্রথম একাদশেও কার্তিককে ছেঁটে ফেলা উচিত ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের।
ইয়ন মরগ্যানের ব্যাটিং অর্ডার নির্দিষ্ট না হওয়া: ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারেন না কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম ও ক্যাপ্টেন ইয়ন মরগ্যান। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের সিদ্ধান্ত ছিল জেনে শুনে বিষ পান করার মতোই। গত ম্যাচে রিঙ্কু সিংকে চার নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানোর কোনও যৌক্তিকতা নেই। এই ধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে বারবার। ইয়ন মরগ্যানের মতো একজন দক্ষ ব্যাটসম্যানকে উপরের দিকে ব্যবহার করা উচিত ছিল।
রিজার্ভ বেঞ্চের দুর্বলতা: যোগ্য পরিবর্ত ক্রিকেটারের অভাব স্পষ্ট কেকেআর দলে। সিদেশ লাড, নিখিল নায়েক, রিঙ্কু সিং, সন্দীপ ওয়ারিরদের ভূমিকা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। এক্ষেত্রে অন্য দলগুলি টেক্কা দিয়েছে কেকেআরকে।
প্রশ্ন উঠছে, কার্তিক-রিঙ্কু সিংদের থেকে বাংলার ছেলেরা কি অনেকটাই পিছিয়ে? কিন্তু ভূমিপুত্রদের দিকে নজর দেওয়ার সময় কোথায় কিং খানদের। দলের নামেই শুধু কলকাতা। ব্রাত্য এই শহর কিংবা রাজ্যের ক্রিকেটাররা।