বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
এদিন টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল কেকেআর। বিনা উইকেটে ৫৩ রান তুলে ফেলেছিলেন শুভমান গিল ও নীতীশ রানা। মনে হচ্ছিল, অস্তিত্বের ম্যাচে ধোনি ব্রিগেডের সামনে বড় রানের টার্গেটই ছুঁড়ে দেবে নাইটরা। কিন্তু ব্যক্তিগত ২৬ রানের মাথায় কর্ণ শর্মার বলে শুভমান বোল্ড হতেই বদলে যায় চিত্র। তড়িঘড়ি ডাগ-আউটে ফেরার দৌড় শুরু করে দেন সুনীল নারিন (৭), রিঙ্কু সিং (১১), ইয়ন মরগ্যান (১৫)। পড়ে যায় রানের গতিও। আশ্চর্যের বিষয় হল, চাপের মুখে নিজেকে আড়াল করতে বিশ্বকাপজয়ী মরগ্যান চার নম্বরে ব্যাট করতে পাঠালেন প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা অখ্যাত রিঙ্কুকে। অধিনায়ক দায়িত্ব এড়ালে, বাকিরা তো গয়ংগচ্ছ মনোভাব দেখাবেনই! তবে তারই মধ্যে একা কুম্ভ হয়ে নাইটদের গড় সামলালেন নীতীশ রানা। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিলেন তিনি। মাঠের চারদিকেই খেললেন বেশকিছু দর্শনীয় শট। মনে হচ্ছিল, সেঞ্চুরি পূর্ণ করবেন। কিন্তু এনগিডির বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনের ধারে স্যাম কুরানের হাতে ধরা পড়েন নীতীশ। তাঁর ৬১ বলে ৮৭ রানের ইনিংসে রয়েছে ১০টি চার ও ৪টি ছক্কা। শেষদিকে নেমে দীনেশ কার্তিক ১০ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
জবাবে দ্রুত শেন ওয়াটসনের (১৪) উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল চেন্নাই। এরপর অবশ্য দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৭২) ও অম্বাতি রায়াডু (৩৮)। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৮ রানের জুটি গড়ে ফাফ ডু’প্লেসির না খেলার অভাব অনেকটাই ঢেকে দেন তাঁরা। তবে মিডল ওভারে দুরন্ত বোলিং করে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন প্যাট কামিন্স ও বরুণ চক্রবর্তী। দ্বিতীয় স্পেলে রায়াডু ও গায়কোয়াড়কে আউট করেন কামিন্স। সিএসকে অধিনায়ক ধোনিকে (১) বাইশ গজে থিতু হতে দেননি বরুণ। কিন্তু আখেরে লাভ হয়নি। শেষ লগ্নে রবীন্দ্র জাদেজার ঝোড়ো ৩১ রানের ইনিংস নাইটদের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তাঁর সঙ্গে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন স্যাম কুরান।