পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
বাঁকুড়ায়, পুরুলিয়া ও বিষ্ণুপুর কেন্দ্র মিলিয়ে এদিন ৩২ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে। এদিন প্রার্থীদেরও ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর দুই কেন্দ্রে ৪০টির বেশি ভোটযন্ত্র খারাপ হয়ে যায়। তারফলে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হতে কিছুটা দেরিতে হয়। এজন্য ভোটারদের অনেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে নির্বাচন কমিশনের তরফে সেখানে অন্য যন্ত্র দিয়ে ভোট শুরু করা হয়। তবে এদিন সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বহু বুথেই ভোটগ্রহণ চলেছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় নানা ধরনের অভিযোগ আনে রাজনৈতিক দলগুলি। কমিশন অবশ্য তা খতিয়ে দেখে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন থানা এলাকার ১৪জনকে আটক করা হয়েছে। ভোটে যাতে কোনও ধরনের অশান্তি না হয় সেজন্য তাদের এদিন আটক করা হয় বলে পুলিসের দাবি। বাঁকুড়ার পুলিস সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, এদিন শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট পর্ব মিটেছে। কোথাও কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি।
বাঁকুড়া লোকসভায় এদিন বিভিন্ন বুথে উৎসবের মেজাজে ভোট হতে দেখা যায়। বাঁকুড়া শহরের বড় কালীতলায় তৃণমূল ও বিজেপির উভয়পক্ষের ক্যাম্প অফিসে মহিলাদের ভিড় দেখা যায়। অধিকাংশ বুথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্ট দেওয়া হয়। রাইপুরের মনিপুর গ্রামের বুথে কুড়মি সমাজের নির্দল প্রার্থীর পোলিং এজেন্টও ছিল।
বিষ্ণুপুর কেন্দ্রেও এদিন শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এখানকার বহু বুথেই একযোগে তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএমের পোলিং এজেন্ট দেখা যায়। যুযুধান রাজনৈতিক দলগুলির ক্যাম্প অফিসও বহু জায়গায় কার্যত কাছাকাছি অবস্থান ছিল। একে অপরের মুড়ি ভাগ করেও খেতে দেখা গিয়েছে। নিরাপত্তাও জোরদার ছিল।
শনিবার ভোট পরবে মাতল পুরুলিয়াবাসী। জেলাজুড়ে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটপর্ব মিটেছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত পুরুলিয়া কেন্দ্রে ভোট পড়ল ৭৪.০৯ শতাংশ। এদিন ভোটগ্রহণের সময় শুরু হওয়ার অনেক আগেই থেকে বুথে বুথে মহিলাদের লম্বা লাইন দেখা যায়। সকালের দিকে কয়েকটি জায়গায় ইভিএম খারাপের জেরে ভোট দেরিতে শুরু হয়। দু’-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া কার্যত উৎসবের মেজাজে ভোট দেন জেলার বাসিন্দারা। সেইসঙ্গে তৃণমূল, বিজেপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের ক্যাম্প অফিস থেকে কোথাও মুড়ি-ঘুগনি, কোথাও আবার লাড্ডু এবং ছোলা দেদার বিলি করে। এদিন বাঘমুণ্ডি, বলরামপুর, জয়পুর সহ বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল এবং বিজেপির ক্যাম্প অফিসে লোকজন দেখা যায়। কিন্তু অধিকাংশ জায়গায় কংগ্রেসের ক্যাম্প অফিস কার্যত ফাঁকাই ছিল। সেইসঙ্গে বাঘমুণ্ডির ধনুডি বুথের পাশে কুড়মি সমাজের নির্দল প্রার্থী অজিতপ্রসাদ মাহাতর ক্যাম্প অফিসে ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। কিন্তু সেখানে বিজেপি ক্যাম্প অফিসই করতে পারেনি। এদিন প্রার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় চষে বেড়িয়েছেন। ঝালদা-১ ব্লকের ইচাগ বুথে নিজের ভোট দেওয়ার পর বেরিয়ে আসার সময় বিজেপির ক্যাম্প অফিস থেকে কংগ্রেস প্রার্থী নেপাল মাহাতকে ছোলার প্যাকেট দেওয়া হয়। এই বিষয়ে নেপালবাবু বলেন, ওরা আমাকে ছোলার সঙ্গে ভোটও দিয়েছে। ভোট দিলেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী।